
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ১০ বছর মেয়াদী জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ১১৩তম বৈঠকে এ নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ১৯৯৮, জাতীয় আইসিটি নীতিমালা ২০১৫, জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০০৯ এবং আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা ২০১০ কে সমন্বিত করে নীতিমালাটি করা হয়েছে।
নতুন এই নীতিমালায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস ও মোবাইলফোনের সম্প্রসারণের কাজ করা হবে।
নীতিমালার স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৮ সালের মধ্যে টেলিঘনত্ব (নাগরিকদের হাতে টেলিফোনের অনুপাত) ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটের বিস্তার ৩৪ থেকে ৪৫ শতাংশে, মোবাইল বা ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৭ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে, সব জেলা-উপজেলা সদর এবং দুই হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ বিস্তৃত করা হবে। এছাড়া সব উপজেলা সদরে উচ্চ গতির তারহীন ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ করা হবে।
মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসাবে ২০২১ সালের মধ্যে ছয়টি ‘টার্গেট’ নির্ধারণ ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো সবার হাতে মোবাইলফোন পৌঁছে দেয়া। এছাড়া ইন্টারনেটের বিস্তার ৬৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সকল ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবারের মহাসড়কে সম্পৃক্তকরণ, সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চ গতির তারবিহীন ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃতকরণ এবং দেশে ২০ শতাংশ বাসস্থান-প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কিং নিশ্চিতকরণ।
দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসাবে ২০২৫ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের বিস্তার ৯০ শতাংশে উন্নীত করা, জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি এবং ৫০ শতাংশ বাসস্থান-প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন
0 comments:
Post a Comment