
সম্ভাব্য অনিশ্চিত
আসমা উল হুসনা নাঈমীঠিক বসন্তের মাঝামাঝি
এই চৈতালী হাওয়ায়,
দিগন্ত বিস্তৃত হলদে মাঠ আর আলো ঝলমলে কচি পাতার ঝিকমিকে দুপুরে,
একমনে ভেবে যাচ্ছি,
তেমন কিছু কি হবে আমাদের?
এভাবেই হেসে খেলে, ঝগড়ায় আর অভিমানে টিকে থাকব আমরা,
ঠিক যেমনটা চলছে।
শীতের শেষে শুকনো পাতার মড়মড়ে বিকেলটা এমনই থাকবে,
আসছে শরৎে এভাবেই কাশফুলগুলো হাওয়ায় লুটোপুটি খাবে,
উদাস কিশোর ঠিক এমন করেই মোহিত দৃষ্টি হানবে এই শুভ্রতার সৌন্দর্যে,
কিংবা আগামী পূর্ণিমায়! চাঁদটা হবে আরো গোল,
সুকান্তের অতৃপ্ত ক্ষুধার ঝলসানো রুটির ন্যায়!
প্রাণবন্ত অসুখ আরও মৃত্যুর হাহাকার?
বালাই ষাট! আমাদের কাছে ঘেঁষবেনা কখনো,
তারা চিরকালই টিভি আর সকালের ধোঁয়া ওঠা গরম কাগজই সীমাবদ্ধ যে!
আমরা তাদের এভাবেই উড়িয়ে দেব হাসিতে-ঠাট্টায়,
আমরাই দূর থেকে নিরাপদ দর্শকের বেশে টলমল চোখে হিসেব কষতে বসব,
এশিয়া ছাড়িয়ে ইউরোপে বা আমেরিকায়
সে কতটা তাণ্ডব চালালো!
আবারও স্কুল-কলেজে অ্যাসেম্বলি শুরু হবে,
ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা মিলে আড্ডা জমাব আমরাই!
পৈশাচিক আনন্দে স্বার্থপরতা এসে কড়া নাড়বে আমাদের দরোজায়,
আমরাও ভাববো, যাক! বাঁচা গেলো,
অথবা,
এমনতো হতেই পারে।
আমাদের ঠাট্টায় উড়িয়ে দেওয়া হাসিমুখ মুছে যাবে,
না দেখা এই মরণবাণ থেকে রেহাই পেলাম না আর!
চিকিৎসার অভাবে অথবা অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে?
কিংবা, পরিশেষে শেষ শিশুটাও মাতৃহীন হবে!
হয়তো আমাদের এই সাধের পৃথিবীতে আকাশ তখনও নীল,
পেঁজা তুলোর মতো মেঘ উড়ছে আকাশজুড়ে, বাধাহীন-
কোকিলটাও কি ডেকে যাবে একটানা?
লক্ষ্মীপেঁচা কি তখন দিনের বেলা দেখা যাবে? কে জানে,
মানুষের ভীত গর্তে লুকোনো শিয়াল হাঁটবে মধ্য দুপুরে নির্জন নিরুপদ্রব রাস্তায়,
শ্যেন চোখের বিলুপ্তপ্রায় শকুনও খাবারের গন্ধে নেমে আসবে ডাঙায়,
যেখানে পড়ে থাকবে নিথর মৃতদেহ-
আপনার বা আমার।
কবি: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
ইবি/হাকিম মাহি
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/3dOZxL9
0 comments:
Post a Comment