One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Friday, June 26, 2020

যে কারণে ৭ম ‘পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা’র লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে

যে কারণে ৭ম ‘পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা’র লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে

শাহ আলম খান

২০১৫ সালে নেওয়া ৭ম ‘পঞ্চবার্ষিকী (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের সময় শেষ হচ্ছে ৩০ জুনে। বিশ্লেষকরা বলছেন—শুরু ভালোই ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের শেষ সময়ে এসে করোনার থাবায় বড় ধরনের হোঁচট খেলো ৭ম ‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা’। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক ধরে এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিলেও শেষপর্যন্ত ১৭টি লক্ষ্য অর্জনই থেকে যাচ্ছে অধরা। যদিও এর মধ্যে ৫টি সূচকে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে দেশ। তবে, আগে যে ৬টি অর্থনৈতিক সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছিল, শেষ বছরে এসে তার ভিতও নড়বড়ে করে দিয়েছে করোনা।

জানা গেছে, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হয় ১৮.৬ শতাংশে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২০.৫ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার ১৭.৬ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কমিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল ৮.৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের হিসাবে তা ১০.৫ শতাংশে উন্নীত করা গেছে। কিন্তু করোনায় আবারও তা লক্ষ্যচ্যুত করে দিয়েছে।

প্রবাসী আয়ের লক্ষ্য ২৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, সর্বশেষ স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ বিলিয়ন ডলারে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ১৬.১ শতাংশ। কিন্তু তা পর্যায়ক্রমে লক্ষচ্যুত হয়ে ২০১৭-১৮ সালে ৯.৬ এবং ২০১৮-১৯ সালে ৯.৯ শতাংশে নেমেছে। আর চলতি বছরে তা  ১২.৭ শতাংশ অর্জিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্য ছিল ২১.১ শতাংশ, সীমাবদ্ধ আছে  ১৭.৯ শতাংশে। বাজেট ঘাটতি ৪.৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার কথা, যা এখন ৫-৬ শতাংশে। জাতীয় সঞ্চয় জিডিপির ৩২ শতাংশের জায়গায় তা এখনো ৩০ শতাংশের কোটা (২৯.৫০) অতিক্রম করতে পারেনি। একইভাবে জাতীয় বিনিয়োগ ৩৪.৪ শতাংশের স্থলে ৩১.৫৭ শতাংশেই থেমে থাকতে হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ ৯.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিরাট লক্ষ্য ঠিক করলেও সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালে তা মাত্র ৩.৮৯ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। মাতৃমৃত্যুহার প্রতিলাখে ১০৫ জনের জায়গায় আছে ১৬৯ জন। স্বাক্ষরতার হার শতভাগের পরিবর্তে ৭৩.২ শতাংশে পৌঁছেছে।

কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি সরকারের মধ্যমেয়াদি ‘অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি’তে ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘করোনার থাবা অর্থনীতিতে আঘাত হানার আগে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির সঙ্গে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। কয়েকটি সূচকের লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই অর্জিত হয়। তবে, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। রাজস্ব ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর অনুপাত বাড়িয়ে ১৬.১ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য ছিল। তবে, মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। বিভিন্ন আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার থাকার পরও রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য গতি আসেনি।’

জানতে চাইলে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘করোনার কারণে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কিছু লক্ষ্য অর্জন সাময়িক ব্যাহত হয়েছে। তবে, সামগ্রিক অর্থনীতি গতি হারায়নি। আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি।’

এ বিষয়ে বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘করোনার বিরূপ প্রভাব অর্থনীতিতে পড়েছে। এরপরও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রাখা অর্থনৈতিক সূচকগুলোর শতভাগ না হলেও বেশিরভাগ অর্জিত হতে পারতো।’ সরকার আর্থিকখাতে চাহিদাযোগ্য সংস্কার ও এর কার্যকর বাস্তবায়নে যথাযথ মনোযোগী হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতো বলেও তিনি মনে করেন।

 

শাহ আলম খান/এনই



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2VpvaUW
Share:

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions