
ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যসেবায় গ্রাহকের পাশে এনআরবিসি
এম এ রহমান মাসুমমহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংকিং সেবায় নিয়োজিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (এনআরবিসি)। বর্তমানে ব্যাংকটি মোট ৭৫টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
নিয়মিত ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাইরে বিদ্যমান জরুরি অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছে ব্যাংকটির হেলথ ডেস্ক। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গড়া হেলথ ডেস্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরামর্শ ও আক্রান্তদের বিশেষ করণীয় সংক্রান্ত তথ্য সহায়তা দিচ্ছে। ই-মেইল healthdesk@nrbcommercialbank.com) কিংবা ফোনেই (16413 ও 09612316413) মিলছে এমন সেবা।
এছাড়া গ্রাহকের সেবার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এরই মধ্যে সঞ্চয়ী হিসাবের কিস্তি, ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিল, যে কোনো বিলের অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জুন পর্যন্ত বিলম্ব জরিমানা মওকুফ করেছে ব্যাংকটি। যদিও সরাসরি বিল জমা দেওয়ার বিষয়টি নিরুসাহিত করছে ব্যাংকটি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাংকের গ্রাহক ঘরে থেকেই যেন ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাপসের ‘প্লানেট’ ব্যাংকিং সেবা নেয়।
করোনো পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের সেবায় ব্যাংকটি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২০ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে জমা দিয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানী ও ঢাকা বাইরে চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং সিলেটসহ অন্তত ১৫টি হাসপাতালে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লোভসসহ স্বাস্থ্য সামগ্রীও সরবরাহ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম আরও চলছে।
করোনাভাইরাস সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এনআরবিসির ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কমিউনিকেশন রুহুল আমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, করোনাভাইরাসের মতো সংক্রামণ বিষয়ে পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যাংক থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে। বিনা খরচে এ হেল্থ ডেস্ক থেকে দেশের যেকোন প্রান্তের সব শ্রেণির মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ নিতে পারবে। অন্যদিকে ইন্টারনেট ও অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে আমাদের ব্যাংক। ফলে মানুষ ঘরে বসেই ফান্ড ট্রান্সফার, নতুন ডিপিএস ও এফডিআর ওপেন ও মোবাইল রিচার্জসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, গ্রাহকের সর্বোচ্চ সেবা বিষয়টি মাথায় রেখে এনবিআরবিসির ডেভিড ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই দেশের যে কোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে করোনা ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পদবী অনুসারে স্বাস্থ্য ইন্সুরেন্স চালু করা হয়েছে। আর করোনো আক্রান্ত কর্মীর সব চিকিৎসা খরচ ব্যাংক বহন করবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, করোনোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে গ্রাহকদের বিরামহীন ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শুরু থেকেই ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধে জীবাণুনাশক সরবরাহ করা হয়েছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়সহ বড় কয়েকটি শাখাগুলোর প্রবেশমুখে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনেক শাখায় আছে থার্মাল স্ক্যানারও। এছাড়া ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে।
কৃষি ও শিল্পবান্ধব ব্যাংকিং সেবার প্রতি এনআরবিসি ব্যাংক অধিক গুরুত্ব দিতে চায় এমন বিষয় উপস্থাপন করে রুহুল আমিন আরও বলেন, বর্তমানে আমরা কৃষি ঋণের বিষয়টি বেশি তদারকি করছি। কৃষকরা যেন সহজে আমাদের শাখাগুলো থেকে পরামর্শ ও স্বল্প সুদে ঋণ পায় সে বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বোরো, আমন ও আউশ মৌসুমে কৃষকের পাশে থাকতে চাই। এছাড়া করোনাভাইরাসের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতসহ আমাদের সব শিল্প উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে আমাদের কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ শিল্প-কারাখানাগুলো বর্তমানে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা/রহমান/এসএম
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2Y9EheS
0 comments:
Post a Comment