১.
সেলুনে চুল কাটাচ্ছি। পাশের চেয়ারে আরেক ভদ্রলোক চুল কাটাচ্ছেন। সেই লোক একটু পর পর কাশছে। তা দেখে সেই চেয়ারের নাপিত বললো “একটা জিমেক্স (এজিথ্রোমাইসিন) খায়া ফালান, একদিনেই কইম্যা যাইবো।” আমি নাপিতকে বললাম “মামা আপনি কি ডাক্তার নাকি?, এন্টিবায়োটিক দিচ্ছেন”। নাপিত বলে “আরে মাম্মা বহুদিনের অভিজ্ঞতা। আপনের ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটে সমস্যা সবকিছুতেই কাম করে। পুরাই ম্যাজিক”। তখনই মনে হলো বাংলায় নাপিত ডাক্তার বলে তো একটা কথা আছে।
২.
রোগীকে দাঁত তোলার পর ওষুধ দিয়েছি এমোক্সিসিলিন ৫০০ মি.গ্রা আর মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি.গ্রা। সাত দিন পর সেলাই কাটাতে আসার পর জিজ্ঞেস করলাম ওষুধ গুলো খেয়েছেন?
রোগী বলে না খাই নাই।
কেনো?
হাবু ডাক্তার কইলো, এইডা নাকি খুব কম পাওয়ারের ওষুধ, তাই জিমেক্স (এজিথ্রোমাইসিন) দিছে
কয়টা খাইছেন?
দুইটা
বি:দ্র: হাবু ডাক্তার একজন সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ (কোয়াক)
৩.
পরিচিত বড় ভাই ফোন দিয়ে বললো, “ছোড ভাই ঝামেলা হইয়া গেছে। আখ চাবাইতে যাইয়া মুখের ভেতর ছিল্যা গেছে। পাড়ার দোকানদার জিমেক্স দিছে, আর কিছু কি খাইতে হইবো।”
আমি বললাম কোন “ওষুধ লাগবে না। কয়েকদিন ঝাল জাতীয় খাবার কম খান। আর খাওয়ার পর হালকা লবন গরম পানি দিয়ে কুলি করেন। এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।”
বড় ভাইয়ের গলা শুনেই বুঝলাম আমার কথায় মোটেই সন্তুষ্ট হলেন না।
৪.
রোগী দাঁতের চিকিৎসা করতে এসেছে। সাথে সর্দি কাশি। নিজেই জানালো সর্দি কাশির জন্য ওষুধ খাচ্ছে। প্রেসক্রিপশন দেখলাম। ইনিও সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ (কোয়াক)। ওষুধ দিয়েছে এজিথ্রোমাইসিন, সেফুরক্মিম, প্যারাসিটামল, মাল্টিভিটামিন। আরো দুইটা ওষুধ যেগুলোর নাম পড়তে পারলাম না। যতবড় ডাক্তার হাতের লেখা তত খারাপ। সম্ভবত ওনি অনেক বড় ডাক্তার।
উপরে উল্লেখিত ঘটনার সবগুলোই ওষুধের বিশেষ করে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার। এটা আমাদের দেশে খুব সাধারন কিন্তু ভয়ংকর একটা সমস্যা। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ এই বিষয়টি নিয়ে গনসচেতনতা গড়ে তোলা
পরিচিত বড় ভাই ফোন দিয়ে বললো, “ছোড ভাই ঝামেলা হইয়া গেছে। আখ চাবাইতে যাইয়া মুখের ভেতর ছিল্যা গেছে। পাড়ার দোকানদার জিমেক্স দিছে, আর কিছু কি খাইতে হইবো।”
আমি বললাম কোন “ওষুধ লাগবে না। কয়েকদিন ঝাল জাতীয় খাবার কম খান। আর খাওয়ার পর হালকা লবন গরম পানি দিয়ে কুলি করেন। এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।”
বড় ভাইয়ের গলা শুনেই বুঝলাম আমার কথায় মোটেই সন্তুষ্ট হলেন না।
৪.
রোগী দাঁতের চিকিৎসা করতে এসেছে। সাথে সর্দি কাশি। নিজেই জানালো সর্দি কাশির জন্য ওষুধ খাচ্ছে। প্রেসক্রিপশন দেখলাম। ইনিও সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ (কোয়াক)। ওষুধ দিয়েছে এজিথ্রোমাইসিন, সেফুরক্মিম, প্যারাসিটামল, মাল্টিভিটামিন। আরো দুইটা ওষুধ যেগুলোর নাম পড়তে পারলাম না। যতবড় ডাক্তার হাতের লেখা তত খারাপ। সম্ভবত ওনি অনেক বড় ডাক্তার।
উপরে উল্লেখিত ঘটনার সবগুলোই ওষুধের বিশেষ করে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার। এটা আমাদের দেশে খুব সাধারন কিন্তু ভয়ংকর একটা সমস্যা। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ এই বিষয়টি নিয়ে গনসচেতনতা গড়ে তোলা
0 comments:
Post a Comment