হার্ডডিক্স ক্র্যাশ করলে বিভিন্ন রকম ম্যাসেজ দেখায়। যেমন : Invalid partition table, Sector not found, Invalid media type,General failure reading drive ইত্যাদি। হার্ডডিক্স ক্র্যাশ করলে পিসি থেকে ব্যবহারকারীর ডাটা গায়েব হয়ে যায়।
হার্ডডিস্ক সাধারণত লজিক্যাল ও ফিজিক্যাল -এই দুইভাবে ক্র্যাশ করতে পারে। লজিক্যাল সমস্যার কারণে বুট সেক্টর, পার্টিশন টেবল, ফ্যাট এরিয়া বা ডাইরেক্টরি এরিয়া নষ্ট হয়। আর ফিজিক্যাল সমস্যার কারণে হার্ডডিক্সের কোন কম্পোনেট কিংবা লজিক কার্ড অকার্যকর কিংবা শক সার্কিট হয়।
যে কোনো সময় হার্ডডিস্কটি ক্র্যাশ করতে পারে। হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলে সাথে সাথে কম্পিউটার শাটডাউন করুন। এরপর কম্পিউটার অন করে বায়াসে গিয়ে দেখুন হার্ডডিস্ক ডিটেক্ট করে কিনা। বায়াসে যেতে হলে মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী ‘del’, ‘F12’ কিংবা ‘f2’ কি চাপতে হবে। যেখান থেকে ‘primary ide chennel’ -এ হার্ডডিস্কের নামটি দেখা যাবে। যদি হার্ডডিস্ক ডিটেক্ট করে, তবে এর নাম দেখাবে না। যদি নাম না দেখায় তবে ডিস্ক ম্যানেজারের মত বিভিন্ন ইউটিলিটিজ সফটওয়্যার ব্যবহার করে হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ সম্পূর্ণ ঠিক করা যায় কিংবা ক্র্যাশ অংশটিকে ব্লক করে রাখা যায়।
ইউটিলিটিজ সফটওয়ারগুলোর ব্যবহারবিধি প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। ডিস্ক ম্যানেজারের কাজও খুব কঠিন কিছু নয়। এগুলো সাধারণত যে কোন সফটওয়্যারের মতই ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। এরপর সফটওয়্যারটি ওপেন করলে বেশ কয়েকটি অপশন আসবে। যদি হার্ডডিস্ক থেকে ডাটা রিকভার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে ‘ব্যাকআপ ও রিকভারি’ অপশনটি ক্লিক করতে হবে। হার্ডডিস্কের সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি দূর করতে অপটিমাজ এবং টুইলস অপশনটি রয়েছে। চাইলে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ডিস্ক পার্টিশনও করা সম্ভব।
হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলে কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারিয়ে যায়। তবে আশার কথা হলো ক্র্যাশ করা হার্ডডিস্ক থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেটা পুনরুদ্ধার করা যায়।
লজিক্যাল ক্রাশ হলে বিভিন্ন সফটওয়ারের সাহায্যে এর সমাধান সম্ভব এবং ডেটা রিকভারি টুল দিয়ে ডেটা রিকভার করাও সম্ভব।
তবে যদি হার্ডডিস্কের ফিজিক্যাল এরর বা ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হয়ে থাকে, তবে হার্ডডিস্ককে উন্মুক্ত করে প্রয়োজন অনুসারে কম্পোনেন্ট বদলিয়ে নতুন কম্পোনেন্ট সেটিংয়ের প্রয়োজন হয়। তবে অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ থেকে বাঁচতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। এর জন্য সপ্তাহে একদিন ডিস্ক স্ক্যান করুন। মাসে একদিন নর্টন সিস্টেম ওয়ার্ক রিপেয়ার সফটওয়ার ব্যবহার করে স্ক্যান করাটা ভালো। এছাড়া হার্ডডিস্ক বহনের সময় এর কভার ব্যবহার করুন। হার্ডডিস্ক সমান্তরালভাবে কেসিং-এর সাথে সেট করে হার্ডডিস্ক টু হার্ডডিস্ক কপি করতে পারেন। হার্ডডিস্কের উপর যেন ময়লা না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ধন্যবাদ।
sourch: http://www.techtunes.com.bd/
sourch: http://www.techtunes.com.bd/
0 comments:
Post a Comment