One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Friday, December 27, 2019

‘উন্নয়নের আগে দূষণের বিষয়ে চিন্তা না করায় বায়ু দূষণ বাড়ছে’

‘উন্নয়নের আগে দূষণের বিষয়ে চিন্তা না করায় বায়ু দূষণ বাড়ছে’

আহমদ নূর

বায়ু দূষণে শীর্ষ শহরের তালিকায় গত এক মাসে ঢাকা দুই বার উঠে এসেছে। শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে প্রায়ই ঢাকার নাম আসছে। এর অন্যতম কারণ বায়ুতে অতিরিক্ত ধুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। এসব কাজের সামগ্রীগুলো অরক্ষিত অবস্থায় রাখা থাকে। ফলে সেখান থেকে ধুলোর দুষণ বাড়ছে। এছাড়া গাড়ির ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়ায়ও বায়ু দূষণ হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ধুলোর দুষণ কমাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না কারায় এর মাত্রা বেড়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

আবার সাধারণ অনেকে বলছেন, ঢাকা যেন দুর্ভোগের নগরী। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা বলছে, ঢাকায় বায়ু দূষণের ৫০ শতাংশ হয় ইটভাটা থেকে, ৩০ শতাংশ রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে, ১০ শতাংশ দূষণ হয় গাড়ির জ্বালানি থেকে এবং শিল্প কারখানার বর্জ্য থেকে ১০ শতাংশ।

সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন, প্রেসক্লাব শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঘুরে ধুলোর দূষণের চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, গাবতলী এলাকায়ও ধুলোর দুষণ দেখা গেছে।

দেখা গেছে, অরক্ষিত অবস্থায় যত্রতত্রভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। মেট্রোরেল নির্মাণ এলাকা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে বালু, ধুলো মিশে যাচ্ছে। ভারি যানবাহন চলাচল করায় ধুলো তৈরি হয়েছে।

এছাড়া অনেক এলাকায় পানি- গ্যাস লাইন ও ড্রেন নির্মাণের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। ড্রেনের নির্মাণকাজ শেষে সড়কে কাজ করানো হলেও পানি ও গ্যাস লাইনের জন্য খুড়াখুড়ি করা হলেও সেটি ঠিক করা হয় না। ফলে উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা ভাঙার পর সেখান থেকে ভাঙা আরো বাড়ে।

দেখা গেছে, খোঁড়াখুঁড়ির পর যে ধুলো হয় সেগুলো প্রশমনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। বিশেষ করে পানি ছিটানো বা ঢেকে রাখার মতো কোনো কাজ করা হয় না।

ধুলোর দূষণ কমাতে উচ্চ আদালত থেকে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সে মোতাবেক ঘটা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ মাসের শুরুতে রাস্তায় পানি ছিটানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ধুলোর দুষণ এড়াতে আগে থেকেই রাস্তায় পানি ছিটানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে সকাল-বিকেল দুই বেলা ‍সড়কে পানি ছিটানো হয়। এছাড়া পরিবেশ দূষণকারীদের জরিমানার আওতায় আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।

তবে নগরীর অনেকে বলছেন, পানি ছিটানোতেও কার্যকরী কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সকালে পানি ছিটানোর কিছুক্ষণ পর তা শুকিয়ে যায়। পরে আবারো বাতাসে ধুলো উড়তে থাকে। বিকেলেও এই অবস্থা।  এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালনা না করা ও ফলোআপ না থাকায় বায়ু দূষণকারীরা দূষণ করে যাচ্ছে।

রাজধানীর কাজী পাড়ার বসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবি আবু হোসেন শাকিল বলেন, বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। না হলে ধুলোর কারণে ঘর থেকে বেরই হতাম না। এতো দূষণ তারপরও সরকার, সিটি করপোরেশন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকার উন্নয়ন করবে এটা সমর্থন করি। কিন্তু বায়ু দূষণের কারণে অসুস্থতা বাড়ছে এ বিষয়ে কোনো খেয়াল করা হচ্ছে না।

ধানমন্ডির বাসিন্দা রায়হানুল হক বলেন, বর্ষা মৌসুমে গেল জলাবদ্ধতা। শুষ্ক মৌসুম আসলো আর ধানমন্ডিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হলো। এতে ধুলো-বালির মাত্রাও বেড়েছে। মূল সড়ক খুঁড়াখুঁড়ি করে রাখা হয়েছে। এখন ধুলোয় কাপড়ে আস্তরণ পড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী মনে করেন, উন্নয়নের আগে দূষণের বিষয়ে চিন্তা না করায় এ সমস্যা হয়েছে।

তিনি বলেন, বায়ু দূষণ, ধুলোয় দূষণের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উন্নয়ন করতে গিয়ে তো নিজেদের ক্ষতি করতে পারি না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ডেভলপমেন্ট করার সময় পরিবেশের কথা চিন্তা করা হয় না। ঢাকার চারপাশে ইটভাটা, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন, প্রচুর গাড়ির ধোঁয়া, ঘনবসতি, অপকরিকল্পত শিল্পকারখানা থেকে মারাত্মক দূষণ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আব্দুল মতিন বলেন, কনস্টাস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। এতে ধুলো-বালি বাতাসের সঙ্গে ছড়ায় না। কিন্তু আমাদের এখানে এটা করা হয় না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

ঢাকা/নূর/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/39jgD2I
Share:

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions