
ঝুঁকিপূর্ণ টিনশেড চালা ঘরে পাঠদান
আরিফুল ইসলাম১৯৮৬ সালে নির্মীত টিনশেড চালায় মরিচা ধরেছে। মরিচা ধরা এই টিনশেড চালাঘরের তিনটি শ্রেণিকক্ষ বিভক্ত করা হয়েছে প্লাইউডের বোর্ডে। বিভক্ত করা এসব শ্রেণিকক্ষেই কষ্টে চলে পাঠদান। নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই নাজুক অবস্থাা।
স্থাানীয়দের সহযোগীতায় ১৯৬৩ সালে গুরুদাসপুর থানা সদরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ বর্মন। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে প্রথম একটি টিনশেড চালাঘর নির্মীত হয়। আশপাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় তখন থেকেই শিক্ষার্থী সংখ্যাও ছিল প্রচুর। দিন বদলের সাথে সাথে বাড়তে শিক্ষার্থীর চাপ। সেই কথা বিবেচনা করে ২০০০ সালের পর একটি একতলা এবং একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো এবং মডেল বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়ায় শিক্ষার্থী প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যে ভবন আছে তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। ফলে পুরনো টিনশেড চালাঘরেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৭০। ১০টি শাখায় তাদের পাঠদান করতে হয়। মডেল এই বিদ্যালয় ফলাফলে জেলা এবং উপজেলা সেরা হয়েছে বহু বার। তাছাড়া প্রতি বছরই বিদ্যালয়টি শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করে। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা দেওয়া হয়না।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাত্রী রয় ও হাবিবা খাতুন জানায়, টিনের চালা ভেদ করে রোদ পরে, আবার বৃষ্টি আসলে পানি। তাছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ায় ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়।
সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান বলেন, শুধু ভালো ফলাফলই নয় সস্কৃতিতেও সেরা। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা নেই। এই দৈন্যতার ফলে একসঙ্গে অনেক শিশু নিয়ে পাঠদান করতে হয়। এটা কষ্টসাধ্য।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী বলেন, বিদ্যালয়ে অবকাঠামগত সুবিধা বাড়ানো দরকার।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অবকাঠমগত অসুবিধা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই দ্বিতল ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
নাটোর/আরিফুল/সাইফ
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2rBbRMh
0 comments:
Post a Comment