
বলে-কয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি!
ক্রীড়া ডেস্ক‘ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত কেউ ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারেনি। আপনি কি ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবছেন?’- ২২৮ রানে অপরাজিত থাকা বীরেন্দর শেবাগকে ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শেবাহের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম দিনই ভারতের রান ২ উইকেটে ৩৫৬। শেবাগের নামের পাশে রান ঝলমলে ২২৮। পাকিস্তানের পেসাররা ছিলেন অসহায়। স্পিনাররা ছিলেন নির্বিষ। শেবাগের আগ্রাসনে ছন্নছড়া হয়ে পড়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ।
দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনের আকর্ষণ ছিলেন এ হার্ডহিটার। তাঁর কীর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন আসতে থাকে। ২২ গজের মতো তাঁর সংবাদ সম্মেলনেরও পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ফ্রন্ট ফুটে এসে খেলেছেন! সেখানেই এক প্রশ্নে আসে ট্রিপল সেঞ্চুরির প্রসঙ্গ। শেবাগের সোজাসাপ্টা জবাব ছিল, ‘আমার টার্গেট ট্রিপল সেঞ্চুরি।’
যেমন কথা তেমন কাজ। পরদিন পাকিস্তানের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান শেবাগ। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা স্পিনার সাকলায়েন মুশতাককে ছক্কা মেরে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ডানহাতি ওপেনার। ছক্কায় ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানোর প্রথম রেকর্ডও ছিল সেটি। ১০ বছর পর কুমার সাঙ্গাকারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ছক্কা হাঁকিয়ে।
ট্রিপল সেঞ্চুরি পেয়ে শেবাগ টপকে যান সুনীল গাভাস্কার (২৩৬), শচীন টেন্ডুলকার (২৪১), ভিভিএস লক্ষ্মণকে (২৮১)। ওই সময়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল ৩৮০। ৩০৯ রানে শেবাগকে আউট করে ম্যাথু হেডেনকে স্বস্তি দেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি খেলতে মাত্র ৩৭৫ বল খেলেছিলেন শেবাগ। উইকেটে টিকে ছিলেন ৫৩১ মিনিট। ৩৯ চার ও ৬ ছক্কা এসেছিল তাঁর ইনিংস।
শেবাগের জন্য ওই টেস্ট যতটা রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় ছিল, শচীন টেন্ডুলকারের জন্য হতাশা ও কষ্টের। কেন-ই বা হবে না! পাক্কা সাড়ে তিনদিন ম্যাচের পড়ে আছে, সেখানে কিনা টেন্ডুলকারতে করতে দেওয়া হলো না ডাবল সেঞ্চুরি। ভারতের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় যখন ৫ উইকেটে ৬৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন তখন টেন্ডুলকার অপরাজিত ১৯৪ রানে। দ্রাবিড়ের ইনিংস ঘোষণার সেই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিল গোটা দুনিয়া।
কিন্তু টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে মুলতান টেস্টে সব আলো কেড়ে নেন শেবাগ। পাকিস্তানিদের মন জয় করে পেয়েছিলেন ‘সুলতান অব মুলতান’ খেতাবও।
ঢাকা/ইয়াসিন
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/39sJZKJ
0 comments:
Post a Comment