One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Tuesday, January 28, 2020

কারিগরি খাতে প্রশিক্ষণে মিলবে বৃত্তি

কারিগরি খাতে প্রশিক্ষণে মিলবে বৃত্তি

হাসান মাহামুদ

দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সকালের শিফটের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে সরকার। এবার সকাল-বিকাল উভয় শিফটের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

দেশের যে কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩৬০ ঘণ্টার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিলেই মিলবে এই বৃত্তি।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম প্রকল্পের ৭ম পর্যায় চলছে। এই প্রকল্পের ৮ম পর্যায়ে এর আওতা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।প্রবাসী কল‌্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সংস্থাটি তৈরি করছে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি)।

ডিপিপিতে যে বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে প্রবাসী কল‌্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, প্রকল্পটির নতুন পর্যায়ে সকাল ও বিকাল উভয় শিফটের সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৬০ ঘণ্টার কোর্সের সকল শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাবে। এই বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ‌্যমে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ৮ম পর্যায়ের ডিপিপি বিএমইটি দ্রুত প্রণয়ন করবে।

যারা এ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নেবে, তাদের মধ‌্য থেকে কারা বিদেশ যাচ্ছেন, কারা দেশে কর্মসংস্থান করছেন- সব একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে। বিদেশ যেতে আগ্রহী কর্মীদের তথ‌্য রেজিস্টার করতে হবে ডাটাব‌্যাংকে।

কারিগরি খাতের উন্নয়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম প্রকল্পটি অন‌্যতম গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্পটি ২০১১ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহীত হতে যাচ্ছে প্রকল্পের ৮ম পর্যায়ের কাজ।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের নিকট কারিগরি শিক্ষাকে সহজলভ্য করে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র ও বেকারত্ব দূর করা। পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো নিশ্চিত করা।
 


শুধুমাত্র দক্ষতার অভাবে বিদেশে বাংলাদেশীরা সঠিকভাবে মূল‌্যায়ন পায় না। চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসততা, উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়া এবং নতুন বাজার খোঁজার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশিদের জন্যে কমে যাচ্ছে বিদেশে চাকরির সুযোগ। এর সাথে বড় সমস‌্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষ শ্রমিকের অভাব। বাংলাদেশে থেকে যেসব শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছেন, তার অর্ধেকেরও বেশি অদক্ষ। পাশাপাশি দেশের বাজারের দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এক অনুষ্ঠানে জানান, দক্ষ জনশক্তির অভাবে বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বিদেশে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশি কর্মীরা এ বিশাল অংক চাকরির মাধ্যমে আয় করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ জনশক্তির অভাবে বিদেশিদের নিতে বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ‘বাংলাদেশে শ্রমবাজার এবং দক্ষ মানব সম্পদের ঘাটতি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উঠে এসেছে, ২০২৫ সালে সব খাত মিলিয়ে মোট ৭ কোটি ২০ লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমশক্তি প্রয়োজন হবে। তৈরি পোশাক, নির্মাণ, চামড়াজাত, কৃষি প্রক্রিয়াজাত- এ রকম নয়টি খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫ লাখ দক্ষ শ্রমশক্তি দরকার হবে।

এসব বিবেচনায় গ্রহণ করা হয় কারিগরি প্রশিক্ষণের এ প্রকল্প। দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পরিচালিত হচ্ছে ৩৬০ ঘণ্টার স্বল্প মেয়াদি কোর্স। এতে ৬টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আধুনিক ও সময়োপযোগী কোর্সে বেকার ও বিদেশ গমনেচ্ছুদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সকালের শিফটে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তারা ভাতা পাচ্ছে। প্রকল্পের নতুন পর্যায়ে উভয় শিফটে বৃত্তি দেয়ার পাশাপাশি যোগ করা হচ্ছে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কার্যক্রম।

এই প্রকল্পের সাথে মিল রেখে বাস্তবায়িত হচ্ছে ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্প। প্রকল্পের মোট ব‌্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৩১ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মপ্রধান) মো. মনছুরুল আলম রাইজিংবিডিকে জানান, প্রকল্পের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের জন‌্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৪ কোটি ২৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এর মধ‌্যে প্রকল্পের অধীনে ৪০টি ভূমি সরকার বুঝে পেয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পের অধীনে ৪০টি নকশাই অনুমোদিত হয়েছে।

 

ঢাকা/হাসান/জেনিস 



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/37ED29a
Share:

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions