সিভি বা জীবন বিত্তান্ত তৈরি নিয়ে একাধিক প্রচলিত ধারণা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি যেমন সঠিক, কিছু প্রচলিত ধারণা আবার ভুল। জেনে নিন কীভাবে সিভি তৈরি করলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে থাকবেন আপনি। চাকরি পাওয়ার দৌড়ে সঠিক সিভি আপনাকে এগিয়ে দিতে পারে। সঠিক সিভি তৈরির ১২টি টিপস তুলে ধরা হলো-
১. নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিভি-তে কখনই মিথ্যে কিছু লিখবেন না। আপনার যা যোগ্যতা, সেটাই যদি সিভি-তে লেখা থাকে, তাহলে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন।
২. চেষ্টা করুন এক পাতার সিভি তৈরি করার। এমন ফরম্যাট বাছুন, যাতে আপনার সমস্ত বিষয় কম কথায়, পরিচ্ছন্নভাবে তুলে ধরা যায়।
৩. বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতার তালিকায় সেটাই প্রথমে লিখুন।
৪. চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা বিজ্ঞাপনটি ভাল করে পড়ে নিন। যে ধরনের চাকরির আবেদন করছেন, সেই অনুযায়ী আপনার সিভি সাজান। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার কী দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেগুলো ভালভাবে সিভি-তে তুলে ধরার উপরে জোর দিন।
৫. কোনো একটি শব্দ বা শব্দবন্ধের পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলুন। কী ধরনের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে তা ব্যাখ্যা করার জন্য ইংরেজিতে ‘ম্যানেজড’ অথবা ‘ডেভেলপড’ দিয়ে বাক্য শুরু করতে পারেন।
৬. আপনার সিভি পছন্দ হলে তবেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্ন। ফলে সিভি-এর একদম উপরে নিজের কন্ট্যাক্ট ডিটেলস না দিয়ে সিভি-এর নীচে দিন।
৭. যারা ফ্রেশার, তারা সিভি-এর একদম শুরুতে নিজেদের লক্ষ্যের কথা লিখতে পারেন। আর যাদের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা সিভি-এর শুরুতে নিজেদের পেশাদারি অভিজ্ঞতার একটি নির্যাস চিত্র তুলে ধরতে পারেন।
৮. বিশদে অপ্রয়োজনীয় জিনিস লিখে সিভি লম্বা করবেন না। মনে রাখবেন, যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, সেখানে আরো প্রচুর সিভি জমা পড়বে। ফলে, আপনার সিভিটি নিয়োগকারীর বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেটা মাথায় রাখুন। ছোট ছোট পয়েন্টে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতাগুলো লিখুন।
৯. অনলাইনে সিভি পাঠালে বা কোথাও সিভির সফট কপি পাঠালে আপনার লিংকডইন প্রোফাইল, ব্লগ অথবা যে চাকরির জন্য কোনো আবেদন করছেন, সেই সংক্রান্ত কোনও প্রজেক্ট বা প্রেজেন্টেশন আপনার করা থাকলে তার লিংক সিভি-তে দিয়ে দিতে পারেন। যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, তারা প্রয়োজনে সেগুলো দেখে আপনার পেশাদারি দক্ষতা এবং আপনার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
১০. অনেকেই যে পেশার জন্য আবেদন করছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের ব্যক্তিগত শখ বা পছন্দের কথা সিভি-তে লেখেন। এক্ষেত্রে সত্যিই আপনার শখ এবং যে পেশার চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তার মধ্যে মিল থাকলে ভাল, না হলেও ক্ষতি নেই। আপনার সত্যি যা করতে ভাল লাগে সেটাই লিখুন। তাতে আপনার চরিত্রের অন্য একটি দিক উঠে আসতে পারে।
১১. যদি হার্ড কপি কোথাও পাঠান, তাহলে খেয়াল রাখুন যে কাগজে সিভি প্রিন্ট করে পাঠাচ্ছেন, সেটি একটু ভাল মানের হয়।
১২. আপনার সিভি-তে যাতে কোনো ব্যাকরণগত ভুল না থাকে, সেই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকুন।
0 comments:
Post a Comment