Thursday, July 7, 2016
যে ১০ ছবি দিয়ে আজকের সালমান
‘ভাইজান’ নামে পরিচিত তিনি। একের পর এক দুর্দান্ত সব ছবি দিয়ে বলিউড বক্স অফিস মাত করেছেন। তিনি সালমান খান। ভক্তদের প্রিয় সাল্লু ভাই। রোমান্টিক-কমেডি দিয়ে শুরু হলেও একসময় পরিচিতি পান অ্যাকশন-কমেডি ছবির নায়ক হিসেবে। গত বছর মুক্তি পাওয়া প্রথম ভিন্নধর্মী ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দিয়ে ভিন্ন রূপে আসেন ভক্তদের সামনে। গুঞ্জন চলছে, ঈদে ‘সুলতান’ দিয়ে বলিউডের সুলতান বনে যেতে পারেন। কিন্তু এই সুলতান হওয়ার পেছনে কৌশল, পরিশ্রমের পাশাপাশি ছিল পুরোনো ১০ ছবির ভূমিকা। পুরোনো সেসব ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. ম্যায়নে পেয়ার কিয়া (১৯৮৯): এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সাল্লু ভাইয়ের। ভারতের ১০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে ছবিটিকে রাখতে হবে। ছবিটির মাধ্যমে ভারতীয় দর্শক ‘সালমানীয় প্রেম’-এর দেখা পায়। রোমান্টিক-কমেডি ধাঁচের ছবিটিতে সালমান ‘প্রেম’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
২. আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪): আমির খানের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করলেও নিজের জাত চেনান সালমান। কমেডি অভিনয়েও যে পারদর্শী, তা বুঝিয়ে দেন ভক্তদের।
৩. হাম আপনে হ্যায় কৌন (১৯৯৪): একই বছর সালমান এই ছবিটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হন। পর্দায় তাঁর সঙ্গে নায়িকা ছিলেন হার্টথ্রুব মাধুরী দীক্ষিত। ছবিটি ‘মোস্ট পপুলার ফিল্ম’ ধারায় জাতীয় পুরস্কার পায়।
৪. পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া (১৯৯৮): ‘আ ও জানে জানা, ঢুন্ডে তুজে দিওয়ানা’ গানটার কথা মনে আছে? সালমানকে দর্শক দেখলেন রকস্টার হিসেবে। ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ‘সেরা অভিনেতা’র পুরস্কারটাও জিতে নেন ছবিটি দিয়ে।
৫. হাম দিল দে চুকে সানাম (১৯৯৯): রোমান্টিক ও আবেগপ্রবণ গায়ক সামিরকে ভোলাটা একটু কঠিন বটে! সঞ্জয় লীলা বানসালি’র ছবিটি সালমানকে দিয়েছে ভিন্ন পরিচিতি। ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভালোবাসার যে রসায়ন তৈরি হয়েছিল, তা দর্শকের হৃদয়ে আজও ভাস্বর।
৬. তেরে নাম (২০০৩): প্রতিটা ছবিই সালমানকে যেন নতুন করে তৈরি করেছে। অথবা সালমান নতুন করে দেখা দিয়েছেন। ‘তেরে নাম’ও তেমন একটি ছবি।
৭. ওয়ান্টেড (২০০৯): দীর্ঘ সময় ধরে আর ভালো ছবি আসেনি সালমানের ঝুলি থেকে। অবশেষে ‘ওয়ান্টেড’ দিয়ে ফিরলেন। দেখা দিলেন হিন্দি ছবির সুপারস্টার হয়ে। ২০০৯ সালে তাঁর ছবিটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও হয়ে উঠলেন হিন্দি ছবির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে।
৮. দাবাং (২০১০): এরপরের গল্প ভিন্ন। ‘দাবাং’ থেকে একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিতে থাকেন। ‘দাবাং’ ছবির ভিন্নধর্মী চরিত্র চুলবুল পান্ডেকে নতুন করে চেনানোর কোনো দরকার আছে কি?
৯. এক থা টাইগার (২০১২): সালমান চুলবুল পান্ডে থেকে একদম টাইগার বনে যান। প্রথম পাঁচ দিনেই ছবিটি আয় করে ১০০ কোটি রুপি।
১০. বজরঙ্গি ভাইজান (২০১৪): বজরঙ্গি ভাইজান দিয়ে সবকিছু ছাড়িয়ে গেলেন সালমান। দায়বদ্ধতা ও সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে করা ছবিটি সালমানকে নিয়ে গেল ভিন্ন উচ্চতায়।
ডিএনএ অবলম্বনে শরীফ নাসরুল্লাহ
Source: prothom-alo.com
0 comments:
Post a Comment