Saturday, July 9, 2016
দুবার গ্র্যামি মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী
নিজের মুষ্টিযুদ্ধ দিয়ে বিশ্বজুড়েই তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক আইকন। তাঁর আরও একটি ভুবন ছিল, সেটি সংগীতের। এমনকি দুবার গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হয়েছিলেন। এ বছর ৩ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন জেনে নেওয়া যাক, এ কিংবদন্তির সংগীত জীবনের কিছু কথা।
তাঁর প্রথম অ্যালবামটি যখন প্রকাশিত হলো, তখনো তিনি মোহাম্মদ আলী হননি। দুনিয়া তাঁকে চিনত ‘ক্যাসিয়াস ক্লে’ নামে। ১৯৬৩ সালে কলম্বিয়া রেকর্ডস তাঁর একটি অ্যালবাম প্রকাশ করল, ‘আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট’। অ্যালবামটি ছিল ‘পোয়েটিক ট্র্যাশ টকিং’-এর। কমেডি লেখক গ্যারি বেলকিন এতে তাঁকে সহায়তা করেন।
ছয় মাস পরেই ছিল সনি লিস্টনের সঙ্গে আলীর ঐতিহাসিক মুষ্টিযুদ্ধ। আসলে অ্যালবামটি তিনি প্রকাশ করেছিলেন লিস্টনকে মানসিকভাবে দুর্বল করতেই। হাস্যরসাত্মক কিছু শব্দ দিয়ে অ্যালবামে আলী তীব্রভাবে আঘাত করেন লিস্টনকে। এমনকি অ্যালবামের প্রথম আটটি ট্র্যাককে তিনি ‘রাউন্ড’ নাম দিয়েছিলেন। কেননা, এরই মধ্যে আলী ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন, সনি লিস্টনকে তিনি মাত্র আট রাউন্ডেই হারাতে পারেন। অ্যালবামের রাউন্ডগুলো ছিল—
রাউন্ড ১: আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট
রাউন্ড ২: আই অ্যাম দ্য ডাবল গ্রেটেস্ট
রাউন্ড ৩: ডু ইউ হ্যাভ টু আস্ক?
রাউন্ড ৪: ‘আই হ্যাভ রিটেন আ ড্রামা’, হি সেইড প্লেফুলি
রাউন্ড ৫: উইল দ্য রিয়েল সনি লিস্টন প্লিজ ফল ডাউন
রাউন্ড ৬: ফানি ইউ শুড আস্ক
রাউন্ড ৭: ২১৩৮
রাউন্ড ৮: দ্য নকআউট
এভাবেই আলী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন লিস্টনকে। ১৯৬৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই লড়াইয়ে মোহাম্মদ আলী মাত্র ছয় রাউন্ডেই সনি লিস্টনকে পরাজিত করেছিলেন। এভাবেই তিনি হয়ে যান বিশ্বের এক নম্বর মুষ্টিযোদ্ধা।
আলীর প্রথম অ্যালবামটি প্রচুর জনপ্রিয় হয়। টপ এলপি চার্টে এটি স্থান পায়, বর্তমানে এটি বিলবোর্ড তালিকা হিসেবে পরিচিত। অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক ‘আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট’ পরে সিঙ্গেল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায়।
আলী যেকোনো বিষয়ে ফ্রিস্টাইলে দুই বা চার লাইনের কবিতা বানিয়ে ফেলতে পারতেন। এ জন্য তিনি ছিলেন বিখ্যাত। এ ব্যাপারে তাঁর সময়জ্ঞান ছিল দুর্দান্ত, যথাযথ। দু-চার লাইনের এ কবিতাগুলো শুনতে অনেকটা র্যাপ ও হিপহপের মতো। ১৯৬৯ সালে আলীকে ‘বাক হোয়াইট’ নামের একটি মিউজিকালে দেখা যায়। এখানে তিনি গান করেন। ‘দ্য এড সুলিভান শো’তেও তিনি পারফর্ম করেন।
এখানেই আলীর সংগীত জীবন থেমে থাকেনি। ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ আলী শিল্পী ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, অসি ডেভিস, হাওয়ার্ড কোসেলদের সঙ্গে একসঙ্গে বের করেন আরেকটি অ্যালবাম ‘আলী অ্যান্ড হিজ গ্যাং ভার্সেস মিস্টার টুথ ডিকে’। তত দিনে ক্যাসিয়াস ক্লে হয়ে গেছেন ‘দ্য গ্রেট মোহাম্মদ আলী’। শিশুদের জন্য গাওয়া এ অ্যালবামের ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব আলী অ্যান্ড হিজ গ্যাং ভার্সেস মিস্টার টুথ ডিকে’ গানটির জন্য আলী আবারও গ্র্যামি মনোনয়ন পান। বিলবোর্ড অবলম্বনে।
Source: prothom-alo.com
0 comments:
Post a Comment