
বিপিসি ৪২ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে
কেএমএ হাসনাতআগামী ২০২০ সালের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিভিন্ন ধরনের মোট ৪২ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেল উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বিপিসি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে আসছে।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালে দেশে মোট ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫০ টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের চাহিদার প্রাক্কলন করেছে বিপিসি। এর মধ্যে গ্যাস ওয়েল ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টন গ্যাস ওয়েল, চার লাখ ৬০ হাজার টন জেট এ-১, এক লাখ ২০ হাজার টন মোগ্যাস এবং এক লাখ ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল রয়েছে। তবে বিক্রয় প্রবণতা ও পর্যাপ্ত মজুত বিবেচনা করে ২০২০ সালের জন্য গ্যাস অয়েল ৩৫ লাখ টন, জেটএ-১ চার লাখ ৬০ হাজার টন, মোগ্যাস এক লাখ ২০ হাজার টন এবং এক লাখ ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত এক লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টন জ্বালানি সংগ্রহ করা হবে।
তবে ২০১৯ সালে মোট ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টন গ্যাস অয়েল আমদানির জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন গ্রহণ করা হয়। তখন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-এর চাহিদা ছিল তিন লাখ ৪২ হাজার টন। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করায় বিউবো-এর গ্যাস অয়েলের চাহিদা কমেছে। এ কারণে ২০২০ সালে ৩৫ লাখ টন গ্যাস অয়েল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২০ সালের জন্য কেপিসি-কুয়েত, পিটিএলসিএল-মালয়েশিয়া, ইএনওসি-আরব আমিরাত, পেট্রোচায়না-চীন, ভূমি সিয়াক-ইন্দোনেশিয়া, পিটিটিটি-থাইল্যান্ড এবং এনআরএল-ভারত এই ৮টি দেশ থেকে মোট ২১ লাখ টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেল আমদানি করবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখের বৈঠকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পূর্বানুমোদন প্রয়োজন রয়েছে। তাই ২০২০ সালের জন্য দেশের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2Woea0I
0 comments:
Post a Comment