
হ্যাচারি বন্ধ, চাষীরা হতাশ
এস বাসু দাশবান্দরবানের মিনি মৎস হ্যাচারি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এতে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ। হ্যাচারি থেকে মাছের পোনা উৎপাদন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক এলাকায় অবস্থিত মিনি মৎস্য হ্যাচারি। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হ্যাচারিতে সরকারিভাবে এখন মাছের পোনার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনাহারে দিন কাটছে হ্যাচারিটির প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের।
সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিনি মৎস হ্যাচারী নির্মাণ করা হলেও স্থায়ী প্রকল্প না থাকায় হ্যাচারির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
বান্দরবানের সুয়ালক মিনি মৎস হ্যাচারির প্রকল্পের কর্মচারী ইতি বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের প্রকল্প ছিল। তখন আমরা ভালোভাবে কাজ করেছিলাম। হ্যাচারিতে প্রচুর মাছের পোনা উৎপাদন হতো। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মাছের পোনা বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন প্রকল্প না থাকায় সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কর্মচারী মন্টু মারমা জানান, প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। আশা করি সরকার প্রকল্পটি আবারোও সচল করবে।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকতার কার্যালয়ের তথ্যমতে, সুয়ালকে ৫.৫০ একর জমির ওপর ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মিনি মৎস্য হ্যাচারি উদ্বোধন হয় ২০১০ সালের ২৫ জুন। ন্যয্য দামে মাছ চাষীদের মাছের পোনা সরবরাহের লক্ষ্যে এখানে খনন করা হয় সাতটি পুকুর। নির্মাণ করা হয় ৪টি হেচিং জার, ২টি ট্যাংক, ১টি ওভারসেড ট্যাংক, ১টি ডিপ টিউবওয়েল, পরীক্ষাগার, স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। তবে সরকারিভাবে প্রকল্প না আসায় হ্যাচারির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রি নেই। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মাছ চাষীরা। অনেক চাষী তাই মাছ চাষ ছেড়ে খুজঁছে নতুন কর্মসংস্থানের।
সুয়ালক এলাকার মাছ চাষী লোকমান জানান, এক সময় আমরা এই মিনি মৎস্য হ্যাচারি থেকে প্রচুর মাছের পোনা কিনতাম। কিন্তু হ্যাচারির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চকরিয়া থেকে পোনা আনতে হচ্ছে।
মাছ চাষী আব্দুল জলিল জানান, হ্যাচারির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখানে উৎপাদন বন্ধ। তাই অতিরিক্ত অর্থে চট্টগ্রাম, দোহাজারী, পটিয়া, চকরিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চড়া দামে মাছের পোনা এনে চাষ করছেন চাষীরা।
বান্দরবান সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন বলেন, আমরা রাজস্ব খাতের আওতায় এই মৎস্য হ্যাচারির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। রাজস্ব খাতের আওতায় কার্যক্রম চললে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পর্যাপ্ত বেতন দেয়া যাবে। মাছের রেনু উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
বান্দরবান/এস বাসু দাশ/সাইফ
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2pcAVbY
0 comments:
Post a Comment