One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Monday, September 30, 2019

বগুড়ায় একদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা

বগুড়ায় একদিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রফতানি বন্ধ করা এবং দেশে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজাবাজার ও ফতেহআলী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি, ভারতীয় ও বার্মিজ (মিয়ানমার) পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। রাজাবাজারের আড়তদার আল্লাহর দানের মালিক জয়নুল... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n8A7ns
Share:

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

রাইজিংবিডি.কম

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ভোরে হযরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১২৮)।

আবুধাবিতে যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়াও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। টানা আট দিনের সফরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলায় ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

আর লোটে প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রানডি, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এবং এক্সন মবিল এলএনজি মার্কেট ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স ভি ভলকভ।

সমন্বিত টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ব্যাপক সফলতার জন্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই-গ্যাভি) তাঁকে 'ভ্যাকসিন হিরো' সম্মাননায় ভূষিত করেছে। পেয়েছেন ইউনিসেফের 'চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড'।

প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের দেয়া এক সংবর্ধনায় সভায় যোগ দেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন।

তথ্যসূত্র : বাসস


ঢাকা/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2nkA47Q
Share:

গুজরাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১

ভারতের গুজরাটে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। সোমবার উত্তর গুজরাটের বনসকণ্ঠ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে এ দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান বাসের চালক। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিলাসবহুল বাসটিতে ৭০ জন যাত্রী... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2o2POwm
Share:

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোরে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১২৮) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n5cFrb
Share:

৯ মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩০৯

সারাদেশে গত নয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩০৯ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’  ৮৪ জন, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৪২ জন, গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২২ জন, যৌথবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন, কোস্টগার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’  একজন,... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2nZcEoO
Share:

বাবর-উসমানের দাপটে করাচিতে পাকিস্তানের জয়

বাবর-উসমানের দাপটে করাচিতে পাকিস্তানের জয়

রাইজিংবিডি.কম

ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ছোঁয়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন বাবর আজম। তার সঙ্গে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান বধের বড় কাজটি করেন উসমান সেনওয়ারি। এ দুই তারকার নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে পাকিস্তান।

এক দশক পর করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। চেনা দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৫ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা ২৩৮ রান করলে ৬৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উসমান সেনওয়ারির বোলিং তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ১০.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ২৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন দলটির ৫ ব্যাটসম্যান। তখনই পাকিস্তানের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের আগ্রহটাই হারিয়ে গিয়েছিল দুই দেশের দর্শকদের কাছে।

সেই বিপদের মূহুর্তের শ্রীলঙ্কাকে আশা দেখাতে থাকেন সানাকা ও জয়সুরিয়া। কিন্তু স্লগ ওভারের চাপ সামলাতে পারেননি লংকান ব্যাটসম্যানরা। ৪১ তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পরের দুটি উইকেটও ভেঙে যায় দ্রুততার সঙ্গেই। মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে দৃশ্যত ছিটকে যায় সফরকারীরা। 

 

 

ম্যাচ হারলেও শিহান জয়সুরিয়ার দুর্দান্ত ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে ক্রিকেট ভক্তদের। সেঞ্চুরির জন্য  ৪ রানের আক্ষেপ নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে লঙ্কান এ উদীয়মান তারকাকে। ব্যক্তিগত ৯৬ রান করে আউট হয়ে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় জয়সুরিয়ার। তার ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সানাকাও (৬৫)। ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৫১ রানে ৫টি উইকেট শিকার করে লঙ্কান ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙে দেন উসমান। এছাড়া ৭ ওভারে ২১ রানে একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।

এর আগে টস জিতে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক। তার আগে ৪১ বলে ৩১ রান করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। তার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ম্যাচে ১২তম ফিফটি গড়েন তিনি।

দলীয় ১০৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৪০ রান করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন হারিস। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নামা বাবর আজম।

ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন বাবর। তার ১০৫ বলে গড়া ১১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭১তম ইনিংসে ১১তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকান এ পাকিস্তানি। এ সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে জাভেদ মিঁয়াদাদের এক পঞ্জিকাবর্ষে দ্রুত ১০০০ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বাবর।



ঢাকা/শামীম



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2oP3nA1
Share:

সাতক্ষীরার ৩ প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় পুকুরচুরিতে নজর

সাতক্ষীরার ৩ প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় পুকুরচুরিতে নজর

রাইজিংবিডি.কম

সাতক্ষীরা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও খেলার সামগ্রী ক্রয়ে সাড়ে ২২ কোটি টাকার পুকুরচুরি ধরতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি), মেডিক‌্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও সাতক্ষীরা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়েই ওই দুর্নীতির অভিযোগ।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও খেলার সামগ্রী ক্রয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ টিমের সমন্বয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ ও দুদক টিমের সরেজমিন পরিদর্শন চলমান রয়েছে। দুদকের উর্ধ্বতন একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে।

ফরিদপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের পর্দাসহ ১৬৬ চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতির রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরুর পরপরই এবার সাতক্ষীরার দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এ বিষয়ে দুদকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অভিযোগ অনুসন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে নেমেছে ‍দুদক টিম। অনুসন্ধান পর্যায়ে আমরা সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তাদের রিপোর্ট ও দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধান টিমের সরেজমিন অনুসন্ধানের রিপোর্টের ভিত্তিতে শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর বেশ কিছু নির্দেশনায় চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধান টিম প্রধান দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলম। নোটিসে বলা হয়, অনুসন্ধানের স্বার্থে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি), মেডিক‌্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও সাতক্ষীরা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে সরবরাহকৃত আসবাবপত্রের মূল্য নিরূপণ করা একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে আপনার অধীনস্থ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে তাদের নাম, পদবি ও ফোন নম্বর অন্তর্ভুক্ত করে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধান টিমের সদস্য উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যাচাই ও মূল্য নির্ধারণে সরেজমিনে পরিদর্শন করার কথা উল্লেখ করা হয়। যাচাইকালে সবরাহকারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গঠিত বিশেষজ্ঞ টিমকেও সার্বিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

অনুসন্ধানের স্বার্থে এর মধ্যে গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানগুলোর সাত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা হলেন-মেডিক‌্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ডা. তওহীদুর রহমান ও স্টোর কিপার মামুন-অর-রশীদ, সাতক্ষীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ আকছেদুর রহমান, ডা. মো. আব্দুল লতিফ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান, ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ঢাকার নিমিউ অ‌্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আব্দুল কুদ্দুস।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিক‌্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নামক দুটি প্রতিষ্ঠানে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার ফুটবলের সরকারি ক্রয়মূল্য ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এক থেকে দেড় হাজার টাকার স্টেথোস্কোপ ও বিপি (ব্লাড প্রেসার মাপার) মেশিনের দাম ধরা হয়েছে ৯ হাজার টাকা। একটি ক্রিকেট ব্যাটের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এভাবেই সরকারিভাবে উচ্চমূল্যে প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকার খেলার সামগ্রী, বইপত্র, আসবাবপত্র ও স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ হাফ ডজনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উচ্চমূল্যে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কালিগঞ্জের নলতা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নামক দুটি প্রতিষ্ঠানে এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর মাধ্যমে  ঢাকার উত্তরার মেসার্স বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর রহমান, ঢাকার শ্যামলীর নলতা শরিফ সার্জিক্যালের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম ও ঢাকার পুরানা পল্টনের মেসার্স ইউনিভার্সাল ট্রেড করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী আসাদুর রহমান দায়িত্ব পান। যেখানে মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন ম্যাটস ও আইএইচটির তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, কমিটির সদস্য ডা. আকছেদুর রহমান, ডা. আব্দুল লতিফ, শেখ আব্দুল আলিম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, আরএমও কালিগঞ্জ ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান ও দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মেহেদি হাসান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেসার্স বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজ চার কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২০ টাকার খেলার সামগ্রী ও আসবাবপত্র সরবরাহের দায়িত্ব পায়। নলতা ম্যাটসে দুই কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৮১০ টাকার এবং আইএইচটিতে দুই কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকার আসবাবপত্র ও খেলার সামগ্রী সরবরাহ করে তারা। তবে মোট টাকার মধ্যে ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬০ টাকার ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি নিট বিল পায় তিন কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬০ টাকা।

একইভাবে নলতা শরিফ সার্জিক্যাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম মোট ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ টাকার বইপত্র সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ম্যাটসে ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৩ টাকার এবং আইএইচটিতে ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকার বইপত্র রয়েছে। ঠিকাদারি এই প্রতিষ্ঠান চার লাখ ৪৯ হাজার ৭৩৪ টাকা সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে।

এ ছাড়া ঢাকার পুরানা পল্টনের মেসার্স ইউনিভার্সাল ট্রেড করপোরেশন, কালিগঞ্জের নলতা ম্যাটস ও আইএইচটিতে মোট ১৭ কোটি ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ টাকার বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করে। এর মধ্যে ম্যাটসে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫০ টাকার এবং আইএইচটিতে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪ টাকার স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ও ট্যাক্স দেয় দুই কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার ৯০৫ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে মেসার্স বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে। তার প্রতিষ্ঠান ম্যাটস ও আইএইচটিতে  ২০টি ফুটবল এক লাখ টাকা, ক্রিকেট ব্যাট ৫০টি সাড়ে সাত লাখ টাকা, এছাড়া ক্রিকেট বল, প্যাড, হেলমেট, গ্লাবস, ক্রিকেট স্ট্যাম্পসহ অন্যান্য খেলার বিভিন্ন ধরনের ৫৮টি সামগ্রী সরবারহ করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ টেবিল প্রতিটি ৮০ হাজার ৫০০ টাকা, হাফ সেক্রেটারি টেবিল ৪৯ হাজার ৩০০ টাকা, স্টিল আলমিরা ৪০ হাজার ৭০০ টাকায় ১০টি, গ্লাস আলমিরা ৪০ হাজার ৭০০ টাকায় ১০টি, স্টিল ফাইল কেবিনেট ২৮ হাজার ৫৫০ টাকায় ১৫টি সরবরাহ করে।

** সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার পর্দার রহস্য উন্মোচনে দুদক



ঢাকা/এম এ রহমান/হাকিম মাহি



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2oJGwWo
Share:

স্বামীর আত্মহত্যার ৩ দিন পর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

স্বামীর আত্মহত্যার ৩ দিন পর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

রাইজিংবিডি.কম

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যার পর ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়া স্ত্রী’র লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার সময় ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের জগেশ মাস্টারের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সামতি রাণী (২০) একই ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের বিলাশ পালের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী গ্রামের ভেলটু পালের কন্যা।

বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক ইহাসাক আলী জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামী বিলাশ পাল গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার জ্ঞান ফিরে। কিন্তু পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান। বিলাশের মরদেহ সৎকারের পর ২৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে নিখোঁজ হন সামতি রাণী। সোমবার সন্ধ্যায় তার লাশ জগেশ মাস্টারের পুকুরে ভাসমান দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।

আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকালু মুঠোফোনে জানান, স্বামীর শোক সইতে না পেরে পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে সামতি। দুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে মরদেহ দেখা যায়নি। বিকালে আকাশ পরিষ্কার হলে তার মরদেহ চোখে পড়ে স্থানীয়দের।

তবে সামতি রাণীর বাবা ভেলটু পাল ও তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ মেয়েকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক মুঠোফোনে জানান, প্রথমে সামতির স্বামীর আত্মহত্যার বিষয়টি গোপন করেছে ওই পরিবারের লোকজন। চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মরদেহ সৎকার করার পর আমরা খবর পেয়েছি। স্বামীর মৃত্যুর পর সামতির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জানিয়েছিল তার বাবার পরিবারের লোকজন। সামতির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।


ঠাকুরগাঁও/তানভীর হাসান তানু/বুলাকী



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2o27ngd
Share:

রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কারও সঙ্গে লড়াই করতে চান না। তিনি এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টের সাপ্তাহিক সাময়িকী টুডে’স ওয়ার্ল্ডভিউকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গে লড়াইয়ে জড়াতে চাই না। আমি এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান চাই। কারণ, তারা (মিয়ানমার) আমার নিকটতম প্রতিবেশী।’... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2oNUBlN
Share:

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খুলতে আলোচনা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তির অধীনে অনৈতিক ব্যবসা হয়েছে— এমন কারণ দেখিয়ে মালয়েশিয়ার সরকার গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছে। এ অবস্থায় দুই দেশের সরকার নতুন করে সমঝোতায় পৌঁছাতে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নতুন একটি... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n7hVKW
Share:

রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই : প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই : প্রধানমন্ত্রী

রাইজিংবিডি.কম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কারো সঙ্গে লড়াই করতে চান না। তিনি এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।

সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টের সাপ্তাহিক সাময়িকী টুডে’স ওয়ার্ল্ডভিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি কারো সঙ্গে লড়াইয়ে জড়াতে চাই না। আমি এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান চাই। কারণ, তারা (মিয়ানমার) আমার নিকটতম প্রতিবেশী।

টুডে’স ওয়ার্ল্ডভিউয়ের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক সাংবাদিক ঈশান থারুর লিখিত ‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকতে পারে না: বলেন প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি মনে করে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় কাজ হবে, তাহলে তো খুবই চমৎকার।

এই ইস্যুটি নিয়ে তিনি মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (সুচি) এই পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছেন। সুচি আমাকে বলেছেন, সেনাবাহিনী তার কথা খুব একটা শোনে না। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি যে, তিনি (সুচি) তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।

ভারতে ২০১৬ সালে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনকালে তাদের মধ্যে ওই বৈঠকটি হয়। এরপর থেকে সুচি দেশটির সামরিক বাহিনীর সিদ্ধান্তকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তিনি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠিটিকে বুঝাতে 'রোহিঙ্গা' শব্দটিও উচ্চারণ করেন না।

সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএন কমিশনের একটি নিবন্ধ সতর্ক করে দিয়েছে, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে যে ধরনের সহিংতার কারণে রোহিঙ্গারা দেশত্যাগে বাধ্য হয় এখনো সেখানে একই অবস্থা বিরাজ করছে। মিয়ানমার সরকারের একটি অংশের ওই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার জোরালো প্রমাণ মিলেছে। সেখানে আবারো গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। মিয়ানমার সরকার গণহত্যা ঠেকাতে, গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করতে ও গণহত্যার অপরাধীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি এ মাসের গোড়ার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতা দমনে মিয়ানমার কিছুই করেনি। রাখাইনে এখনো যেসব রোহিঙ্গারা আছেন, তারা ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতার সময়কার মতোই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।

নিবন্ধটিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ছোট একটি দলের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে দেশটির সঙ্গে চুক্তি হলেও শরণার্থীদের অধিকাংশ রাখাইনে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বড় বোঝা, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাদের ওপর যা ঘটেছে তা এক ধরনের গণহত্যা। হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ অনেক কিছু ঘটেছে। নিরাপত্তার জন্য তারা তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। আজকের দেশের এই বোঝা আঞ্চলিক সংকটে রূপ নিতে পারে। ক্রমবর্ধমান হতাশাগ্রস্ত ও কর্মহীন শরণার্থীরা মৌলবাদ ও উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। দীর্ঘদিন অবস্থান করলে খুব সহজেই তারা 'জঙ্গি গ্রুপগুলো'তে যোগ দিতে পারে। নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সেখানে টহলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের এখন থাকার জন্য স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা আমাদের মাটিতে আছে। আমরা আর কী করতে পারি!

মিয়ানমারকে চাপে ফেলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী কী করতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সমস্যা হচ্ছে তারা অন্য কারো কথা শোনে না। আমার প্রত্যাশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগ করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শরণার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করছে।


ঢাকা/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2o0mois
Share:

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গোপনে যা বলে

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গোপনে যা বলে

রাইজিংবিডি.কম

এটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই যে কারো কথা বলার ভঙ্গি অথবা শারীরিক চলাফেরা দেখেও তার সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়! হ্যাঁ! অনেকটাই গোয়েন্দা গল্পের শার্লক হোমসের মতই আপনাকে দেখেই আপনার অনেক গোপন কথা বলে দেয়া সম্ভব। আপনার কোনো শারীরিক অঙ্গভঙ্গি আপনার সম্পর্কে অন্যদের কি ধারণা দেয় সে সম্পর্কে জেনে নিন।

আড়াআড়িভাবে হাত ভাঁজ করে রাখা

বারবারা এবং এলেনের লেখা ‘দ্য ডেফিনিটিভে বুক অফ বডি ল্যাংগুয়েজ’ বইয়ের তথ্যমতে,  আড়াআড়িভাবে হাত ভাজ করে রেখে কথা বলার মানে হল আপনি তেমন মিশুক না। এছাড়াও এই ভঙ্গীর দ্বারা আপনি যে উদ্বিগ্ন, জেদি এবং রক্ষণাত্মক এসবই প্রকাশ পায়। তবে আড়াআড়িভাবে হাত ভাজ করে রাখার মানেই যে ভালো কিছু না ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়, এর মধ্যেও ভালো কিছু ব্যাপার আছে। যারা এভাবে হাত ভাজ করে রাখে তারা যেকোনো কঠিন কাজ খুব সহজেই করে ফেলতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাত ভাজ রাখায় অভ্যস্ত এমন ছাত্রদের কোনো কঠিন অংক দিলে তারা সেটা সমাধান করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে, অথচ অন্যান্য ছাত্ররা যেখানে খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আড়াআড়িভাবে হাত ভাজ করে রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্কের উভয় পাশের সক্রিয়তা পাওয়া যায়, যা উচ্চতর জ্ঞানীয় কার্যক্রম তৈরি করে।

জোনাভারো নামে একজন সাবেক এফবিআই এজেন্ট এ সম্পর্কে বলেছেন, যারা আড়াআড়িভাবে হাত ভাজ করে রাখে, তারা অন্যের উপর নির্ভর না করে খুব সহজে নিজের স্বাচ্ছন্দ্য নিজেই খুঁজে নিতে পারে। আর তাই কোনো কঠিন প্রশ্ন করার পর কাউকে যদি হাত আড়াআড়িভাবে ভাজ করে ফেলতে দেখেন তাহলে আবার এটা ভাববেন না যে, সে ব্যক্তি কোনো কারণে আপনার উপর রাগ করছে। আদতে তারা কিন্তু আপনার কঠিন প্রশ্নটির উত্তর নিয়েই চিন্তা করছে।

চোখে চোখ রেখে কথা বলা

আপনি যদি আপনার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দিয়ে এটা বোঝাতে চান যে আপনি অপরজনের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছেন তাহলে তার চোখে চোখ রেখে কথা শুনতে হবে। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখবেন এক্ষেত্রে আগ্রাসীভাবে কারো দিকে তাকানো যাবে না কেননা এতে করে অপর ব্যক্তি অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। আগ্রাসীভাবে তাকিয়ে থাকা বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে আদতে কারো দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা। একটা গবেষণায় উঠে এসেছে যে, আপনি কারো সাথে কথা বলার ৮০ ভাগ সময় যদি তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাহলে সেটা তাকে অস্বস্তিতে ভোগাবে। অপরদিকে আপনার যদি কথা বলার সময় শুধুমাত্র ৪০ ভাগ সময় কারো দিকে তাকান তাহলে এর অর্থ হতে পারে আপনি তার কথায় খুব একটা মনোযোগ দিচ্ছেন না। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে এক্ষেত্রে সঠিক সংখ্যাটি কি? উত্তরে বলা হয়ে থাকে কারো সাথে কথা বলার সময় আপনাকে শতকরা ৬০ ভাগ সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। বাকি সময়টা অপর ব্যক্তিকে স্বস্তিতে রাখার জন্য আপনি এদিক-ওদিক তাকাতে পারেন।

দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে বসা

একটা গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষ তার নিজের জায়গা আলাদা করে রাখার জন্য এবং কর্তৃত্বভাব প্রকাশ করার জন্য সাধারণত দুই পা দুইদিকে ছড়িয়ে বসে। এছাড়া আরেকটি গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে, যারা বেশি ক্ষমতার অধিকারী তারা সাধারণত একটু বেশি জায়গা নিয়ে এভাবে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

পায়ের ওপর পা তুলে বসা

আপনি যদি পা আড়াআড়িভাবে একটার উপরে একটা রেখে ভাঁজ করে বসেন তাতে এটা বুঝা যায় যে আপনি অনেকখানি স্বনির্ভর এবং কর্তৃত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদেরকেই এভাবেই বেশি বসে থাকতে দেখা যায়। এভাবে পায়ের উপরে পা ভাঁজ করে থাকাকে ‘এঙ্কেল লক’ বলা হয়ে থাকে, এর মাধ্যমে এটাও বুঝা যায় যে আপনি ভাবনায় পেছনে আটকে আছেন, ভয় পেয়েছেন বা অনিশ্চিত যা চাকরির ইন্টারভিউয়ের ঘটে।

এছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে মেয়েরা আবেদন সৃষ্টি করতে পারে এভাবে বসে। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সাধারণত ছেলেরা মেয়েদেরকে এভাবে বসে থাকতে দেখতেই বেশি পছন্দ করে।

কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানো

আপনি মনে করতে পারেন যে এই পোজটি আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে। তবে এটাও মাথায় রাখবেন যে, কখনো কখনো এই একইভাবে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে আপনার আগ্রাসী মনোভাবের প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। কোমরে দুই হাতের কনুই দুই পাশে থাকার মাধ্যমে এটা প্রকাশ হতে পারে যে, আদতে আশেপাশের কাউকে আপনি নিজের কাছাকাছি আসতে দিতে চান না।

হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া

এইভাবে হ্যান্ডশেক করে একজনের সাথে আরেকজনের মত বিনিময় করাটা প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। প্রথমদিকে মানুষ একজন আরেকজনের পুরো হাতটাই ধরত। তবে বর্তমানে হ্যান্ডশেক বলতে শুধুমাত্র হাতের তালু ধরে রাখাটাকেই বুঝায়।

তবে কারো সাথে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়ার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একটু ভাবতে হবে। কেননা হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে এটা প্রকাশ পায় যে যার সাথে আপনি হাত মেলাতে যাচ্ছেন তিনি আদতে আপনাকে স্বাগতম জানাতে চাচ্ছেন। অথচ অপরদিকে চিন্তা করলে দেখা যেতে পারে যে সেই মানুষটি আপনাকে দেখে তেমন একটা খুশি নাও হতে পারেন, তাই হাত মেলানোর জন্য আগে থেকেই হাত বাড়ানোর আগে আপনাকে এই বিষয়গুলো একটু ভেবে নিতে হবে।

সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখে থাকা

কারো সাথে কথা বলার সময় এবং মনোভাব প্রকাশ করার সময় সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকার মাধ্যমে অনেক ভালো কিছু প্রকাশ পেতে পারে। কেননা যখনই আপনি কারো দিকে তাকিয়ে হাসছেন, আপনি তার সাথে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কটি নিজের অজান্তেই হয়ত আরো একটু ভালো করে ফেলছেন। এছাড়া স্বাস্থ্যগত দিকে তাকালে দেখা যায়, হাসি আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে।

দুই হাতের আঙুল একসঙ্গে করে রাখা

অন্য কারো সাথে কথা বলার সময় দুই হাতের আঙুল এক সাথেই এভাবে ভাঁজ করে রাখার মাধ্যমে রোমান্টিকতা প্রকাশ পায়। তবে আপনি যখন একদমই একা এভাবে বসে থাকবেন, তখন আপনাকে কেউ দেখলেই মনে করতে পারে যে আপনি বেশ খানিকটা মানসিক চাপে ভুগছেন।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট


ঢাকা/ফিরোজ



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2muurUr
Share:

টিভিতে আজকের খেলা

টিভিতে আজকের খেলা

রাইজিংবিডি.কম

ফুটবল

চ্যাম্পিয়নস লিগ

রিয়াল মাদ্রিদ-ক্লাব ব্রুজ

সরাসরি, রাত ১০-৫৫ মিনিট, সনি টেন টু

 

আটালান্তা-শাখতার দোনেত্স্ক

সরাসরি, রাত ১০-৫৫ মিনিট, সনি ইএসপিএন

 

ম্যানচেস্টার সিটি-ডায়নামো জাগরেব

সরাসরি, রাত ১টা, সনি টেন ওয়ান

 

জুভেন্টাস-বেয়ার লেভারকুসেন

সরাসরি, রাত ১টা, সনি টেন টু

 

টটেনহাম-বায়ার্ন মিউনিখ

সরাসরি, রাত ১টা, সনি সিক্স

 

গ্যালাতাসারাই-পিএসজি

সরাসরি, রাত ১টা, সনি ইএসপিএন

 

রাগবি

রাগবি বিশ্বকাপ

সরাসরি, বিকেল ৪টা, সনি টেন টু

 

টেনিস

জাপান ওপেন

সরাসরি, সকাল ৮-৩০ মিনিট, সনি ইএসপিএন



ঢাকা/শামীম



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2o1PfTH
Share:

কোটি টাকার ওয়েস্টবিন, খুঁজতে গেলে সোনার হরিণ

কোটি টাকার ওয়েস্টবিন, খুঁজতে গেলে সোনার হরিণ

রাইজিংবিডি.কম

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ও নগরীকে পরিচ্ছন্ন হিসেবে গড়তে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে সড়কের দুই পাশে ১১ হাজার মিনি ওয়েস্টবিন বসানো হয়েছিল। কিন্তু জনসচেতনতা, নিয়মিত মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়কে সেসব ওয়েস্টবিন নেই বললেই চলে।

দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ১১ হাজার মিনি ওয়েস্টবিন বসানো হয়েছিল। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পাঁচ হাজার ৭০০ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঁচ হাজারেরও বেশি ওয়েস্টবিন বসানো হয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে এর খরচ পড়েছিল পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।

নির্ধারিত জায়গায় ময়লা ফেলার ব্যবস্থা তৈরি করায় ওই সময় রাজধানীবাসী দুই সিটি করপোরেশনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে দিন দিন এগুলো হারিয়ে যাওয়ার সাধারণ মানুষ সিটি করপোরেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, রাস্তার দুই পাশে বসানো ওয়েস্টবিন রক্ষার দায়িত্ব নগরবাসীরও।

দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা দেখা গেছে, অল্পসংখ্যক জায়গায় ভাঙা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে কিছু ওয়েস্টবিন। কোথাও ওয়েস্টবিনের পিলার স্ট্যান্ডসহ নাই। আবার কোথাও এসবের ঢাকনা নাই। মনে হবে, এখানে কখনো কোনো দিন ওয়েস্টবিন বসানোই হয়নি। কোটি টাকার ওয়েস্টবিন প্রকল্পের বিন খুঁজতে গলে মনে হবে, এসব যেন সোনার হরিণ।

সরেজমিন চিত্র:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ২৭ নাম্বার, শংকর, জিগাতলা, সিটি কলেজ, রাসেল স্কয়ার, আসাদ গেট, কলেজ গেট, শ্যামলী, নূরজাহান রোড, বাবর রোড, কল্যাণপুর, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়া পাড়া, আগারগাও, মহাখালী, বনানী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, শান্তিনগর, বনশ্রী, বাড্ডা নতুন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ওয়েস্টবিন নেই। এতে সাধারণ মানুষ ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে ফুটপাতে, সড়কে ফেলছেন।  কয়েকটি জায়গায় ওয়েস্টবিন দেখা গেলেও এগুলো ময়লায় উপচে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। মনে হবে, ওয়েস্টবিন বসানোর পর কখনো জমা হওয়া ময়লা সরানো হয়নি।

নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়েস্টবিন বাসানোর পর এসবের ব্যবহারের বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশনের কেউই কোনো ধরনের প্রচারণা চালায়নি। শুরুর কয়েকদিন নতুন জিনিস হিসেবে নগরবাসী এটি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু ময়লা জমা হওয়ার পর এগুলো খালি না করায় অনেকে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হন। এরপর একসময় রাতে চোর বিন চুরি করা শুরু করে। এরপর দণ্ডগুলোও চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যপারে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ধানমন্ডির বাসিন্দা রিফাত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ওয়েস্টবিন বসালে তো হবে না। এগুলো ব্যবহারে সাধারণ মানুষদের উৎসাহিত করতে হবে।

 

 

শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রাতে পুলিশের টহল দল থাকে। তারা ওয়েস্টবিন রক্ষায় কী করলো? পুলিশের সদিচ্ছা থাকলেও একটি ওয়েস্টবিনও রাস্তা থেকে চুরি হতো না।’

প্রেসক্লাব এলাকায় কথা হয় সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা সভ্য হতে চাই না বলেই এতো টাকা খরচ করে ওয়েস্টবিন বসানো হলো। কিন্তু সেগুলো আবার চুরি বা গায়েব হয়ে গেলো।’

নূরজাহান রোডের বাসিন্দা জান্নাত হৃদি বলেন, ‘শুরুর দিকে ওয়েস্টবিন ব্যবহার করতাম। কিন্তু পরে দেখি, এগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও পরিস্কার করা হয়না। এজন্য আর ব্যবহার করা হয়না।’

গ্রীণ রোডের বাসিন্দা রূপা বিশ্বাস বলেন, ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে চাইলেও তো উপায় নেই। কারণ কোথাও কোনো ওয়েস্টবিন নেই।

তবে ওয়েস্টবিন চুরি ও এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারার দায় নিতে রাজ নন দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সব দায় সাধারণ মানুষের। কারণ তারা এগুলো ধরে রাখতে পারেননি।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সব ওয়েস্টবিন রিপ্লেস করার চিন্তা করছে তারা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘নানা কারণে বসানো ৫ হাজার ৭০০ ওয়েস্টবিন রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা এগুলো নতুনভাবে মেরামত বা রিপ্লেস করার চেষ্টা করছি।’

তবে জানা গেছে, ওয়েস্টবিন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এখনো কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। তারা বাসা বাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেশি উদ্যোগী হচ্ছেন।


ঢাকা/নূর/সাজেদ



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2niEzzN
Share:

‘কিছুতেই মায়ের শাড়িটি ধরতে পারি না’

‘কিছুতেই মায়ের শাড়িটি ধরতে পারি না’

রাইজিংবিডি.কম

‘ঘুমের মধ্যে দেখতে পাই, সবুজ কচুরি পানার ওপর মায়ের শাড়ি। তার চারপাশ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। অনেকটা কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। মায়ের শাড়িটি ধরতে যতই কাছে যাই, কেউ যেন আমাকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। কিছুতেই মায়ের শাড়িটি ধরতে পারি না। শাড়িটি আমার কাছে মায়েরই প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে। একই ঘটনা বারবার দেখতে পাই। দৃশ্যটির কথা মনে পড়লেই চোখে জল চলে আসে। এই দৃশ্যটি আমাকে ভীষণভাবে স্পর্শ করে। কারণ আমি যেন মাকে-ই স্পর্শ করতে পারি না।’ রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলেন তরুণ অভিনেতা সুজয় রাজ।

তরুণ পরিচালক আহসান স্মরণ নির্মাণ করেছেন ‘আকাশে’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজয় রাজ। চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্য প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন এই অভিনেতা।

গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক আহসান স্মরণ বলেন, ‘একুশ বাইশ বছর বয়েসি তরুণ নুরুদ্দীন। সাদাসিধে স্বভাবের এই তরুণ অন্যের জমিতে কাজ করে। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছে। মায়ের মুখ ঠিক করে মনে করতে পারে না। মায়ের সঙ্গে দেখা করার বাঁধভাঙা ইচ্ছে তার। সে ছোটবেলা থেকে শুনে আসছে— মানুষ মরে গিয়ে আকাশে থাকে। তার মাও মরে গিয়ে নিশ্চয় আকাশেই আছেন। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার আকাশে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে। আর এই ইচ্ছেকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনি।’

সুজয় রাজ বলেন, ‘কাজটির প্রস্তাব পাওয়ার পর পরিচালক অর্থাৎ ফিল্মের টিমের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করি। যদিও সময় স্বল্পতার কারণে চরিত্রটির জন্য খুব বেশি সময় পাইনি। যতটুকু পেয়েছি তার পুরোটাই পরিচালকের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করি। এতে করে চরিত্রটি ভেতরে ধারণ করতে থাকি। যখন মনে হয়েছে এখন আমি পারব ঠিক তখন শট শুরু করেছি।’

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘গল্পটিতে একটি ছাগল ও পাখি রয়েছে। যদিও পাখির দৃশ্যটি রাখা হয়নি। যাইহোক, এই ছাগলটির সঙ্গে থাকতে থাকতে এতটা কাছের করে নিয়েছিলাম যে, যখনই ছাগলটিকে ডাকতাম তখনই আমার কাছে চলে আসতো। শুধু তাই নয়, যা বলতাম তা চুপচাপ দাঁড়িয়ে বা বসে বসে শুনত। গল্পে যখন আমি মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা হবো, তখন দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মনে হয় ওকে আমি কার কাছে রেখে যাব! তারপর ছাগলটি সঙ্গে নিয়ে রওনা হই।’

চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রের নাম নুরুদ্দীন। আর এই চরিত্রে দেখা যাবে সুজয়কে। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে সুজয় বলেন, ‘ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি। তাই মায়ের প্রতি আমার দূর্বলতা একটু বেশি-ই। মা শব্দটি শোনলেই চোখে জল চলে আসে। এ বিষয়টি আমার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অনেক বেশি সহায়তা করেছে। তাছাড়া নির্মাণ কাজ অসাধারণ হয়েছে। কারণ আমরা একটি দৃশ্যেও ফাঁকি দেইনি।’

চলচ্চিত্রটির অন্যতম চরিত্র হাকিম। এটি রূপায়ন করেছেন ইবনুল কাইয়ুম সনি। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমার চরিত্রটি গ্রামের স্বল্পবিদ্যা ভয়ংকর টাইপ মানুষজনের প্রতিনিধিত্ব করে। মাকে খুঁজতে আকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে নুরুদ্দীন আমার কাছে পরামর্শ চাইতে এলে, নুরুদ্দীনকে বাঁশের মাচা বানিয়ে তার ওপর বসে আকাশ গবেষণা করার পরামর্শ দিই। আর বাঁশের দূরবীণ বানিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে বলি। আকাশের সীমা খুঁজে না পেয়ে নুরুদ্দীন আবার আমার কাছে পরামর্শের জন্য ছুটে আসে। এ সময় বিরক্ত হয়ে বলি, ‘আল্লার দুনিয়া যে গোল, সেডা বার বার প্রমাণ কত্তিছে, বারবার তোর সঙ্গে আমার দেখা করায় দেচ্ছে।’ আল্লার দুনিয়ে গোল শুনে নুরুদ্দীনের মাথায় নতুন গবেষণার ভূত ঢুকে। সে নতুন করে গবেষণায় মেতে ওঠে এবং নিজের মতো করে আকাশের শেষ সীমানার ঠিকানা পেয়ে যায়। পরে চরিত্রটি নিজেকে বেশ জ্ঞানী ভাবতে শুরু করে এবং আত্মতৃপ্তিতে মগ্ন হয়।’’

এছাড়াও চলচ্চিত্রটির অন্য একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন— ইরাজ মাহমুদি। যশোরের বিভিন্ন স্থানে এর দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন সমর ঢালি।

কিছুদিন আগে ময়মনসিংহে বসেছিল ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ-২০১৯’। এতে প্রদর্শিত হয়েছে এটি। সেখানেও ঢের প্রশংসা কুড়ায় চলচ্চিত্রটি। আরো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।


ঢাকা/শান্ত



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2o0ml6g
Share:

মহাকাশে অপরাধ- বিচার কী হবে?

মহাকাশে অপরাধ- বিচার কী হবে?

রাইজিংবিডি.কম

প্রশ্নটি সামনে এসেছে সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা)'র কাছে দেয়া একটি অভিযোগ কেন্দ্র করে। সেখানে মার্কিন মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাক্লেইনের বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক জীবনসঙ্গী সামার ওর্ডেন অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ  অ্যানি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ অবস্থান করার সময় শক্তিশালী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মহাশূন্য থেকে ওর্ডেনের ব্যাংক একাউন্টে অনধিকার প্রবেশ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওর্ডেনের ব্যাংক লেনদেন গোপনে নজরদারি করেছেন! অভিযোগ পাওয়ার পর মহাকাশে ঘটা প্রথম ‘অপরাধ’-এর তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু করছে নাসা।

পৃথিবীর ভূমিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য প্রত্যেক দেশে পুলিশ আছে, বিচারের জন্য ফৌজদারি আইন ও আদালত আছে৷ কিন্তু মহাকাশে কেউ অপরাধ করলে সেক্ষেত্রে কোন আইন ও আদালতে বিচার হবে- এই প্রশ্নের উত্তর মোটেই সরল নয়। প্রথমেই মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী মহাসাগরের মতো মহাকাশ ও ‘Res Communis. অর্থাৎ পৃথিবীর সবার মালিকানাধীন বা কারো একক মালিকানাধীন নয়- কোনো দেশ এই মহাকাশ বা মহাকাশস্থিত চাঁদ-সূর্য বা কোনো গ্রহ-নক্ষত্রের একক মালিকানার দাবিদার হবে না।

তবে মহাকাশে অভিযান পরিচালনা, মহাকাশযানের মালিকানা এবং মহাকাশযানের অভ্যন্তরে নভোচারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বলবৎ আছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১৯৬৭ সালের ‘Outer Space Treaty.’ এই চুক্তি অনুসারে কোনো মহাকাশযানের ভেতরে কোনো নভোচারী দ্বারা যদি অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে সেই মহাকাশযানের মালিকানা যে দেশের সেই দেশ ওই অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার রাখবে। বলাবাহুল্য মহাকাশে যেহেতু কোনো পুলিশ বা আদালত নেই তাই নভোচারী পৃথিবীতে ফেরত আসার পরেই তার বিচার শুরু হবে। বিষয়টা ঘোঁট পাকাবে যদি মহাকাশযানের মালিকানার দেশ আর নভোচারীর দেশ ভিন্ন হয়। যেমন একটি মার্কিন মহাকাশযানে একজন অস্ট্রেলিয়ান নভোচারী কোনো অপরাধ করলো এবং অস্ট্রেলিয়া নিজের নাগরিকের বিচার নিজ দেশে করতে চাচ্ছে। বিষয়টি আরো জটিল হয়ে ওঠে যখন অপরাধটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-এ সংঘটিত হয়। কারণ এটি একক কোনো দেশের মালিকানায় নেই।  আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এর মালিকানা পাঁচটি দেশের- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং ক্যানাডা।

এখানে ইউরোপকে একটি দেশ হিসেবে দেখা হয়। মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে ১৯৯৮ সালে এই পাঁচটি দেশের মধ্যে যে আন্তঃসরকার চুক্তি হয় সেখানে বলা আছে- আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, এর যন্ত্রপাতি এবং এই স্টেশনে অবস্থান করা নভোচারীদের ওপর এই দেশগুলোর নিজস্ব আইন নভোচারীদের জাতীয়তার ভিত্তিতে কার্যকর হবে। সুতরাং, কোনো ক্যানাডিয়ান নাগরিক যদি মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে অপরাধ ঘটান, তাহলে তিনি ক্যানাডিয়ান ফৌজদারি আইনের আওতায় পড়বেন। একইভাবে রুশ নভোচারীরা রাশিয়ার আইনের অধীন থাকবেন। এটি স্পষ্ট যে, উপরে উল্লেখিত ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যানি ম্যাক্লেইন এবং অভিযোগকারী সামার ওর্ডেন দুজনেই যেহেতু মার্কিন নাগরিক তাই এই ঘটনার বিচার যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজদারি আইনেই হবে। যদি দুজনের একজন ভিন্ন দেশের নাগরিক হতো সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশে বিচারে আগ্রহী না হলে অপর দেশের ফৌজদারি আইন প্রযোজ্য হতো।

মুশকিল হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিভিন্ন পার্ট বা মডিউলের মালিক ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি দেশ। এখন নভোচারীদের দেশ আর স্টেশনের যে পার্টে অপরাধ সংঘটিত হলো সেই পার্টের মালিকানা যদি ভিন্ন কোনো দেশের হয় তাহলে কোন দেশের আইন প্রযোজ্য হবে? উদাহরণস্বরূপ 'ক' নামের নভোচারী 'ক' নামক দেশের নাগরিক। সে 'খ' দেশের 'খ' নামের আরেক নভোচারীর মোবাইল চুরি করলো মহাকাশ স্টেশনের এমন একটি অংশ হতে যেটির মালিকানা আবার 'গ' দেশের। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, পার্টনার দেশগুলো পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু কোনো নভোচারী যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করে সেক্ষেত্রে তার বিচার কোন দেশে হবে? সমস্যা আরো আছে- পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের ভূখণ্ড নির্ধারিত কিন্তু মহাকাশে তো আর এমন কোনো বাউন্ডারি নেই। তাহলে আকাশের ঠিক কোন উচ্চতা থেকে মহাকাশ বা স্পেস- জুরিসডিকশান শুরু হবে- সেই প্রশ্নেও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কারো ব্যাংক একাউন্টে বেআইনি অনুপ্রবেশ মহাকাশে সংঘটিত প্রথম অপরাধ এবং প্রকৃতি বিবেচনায় হয়তো খুব গুরুতর অপরাধ নয়। কিন্তু সেটি আরো গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রশ্নের দরোজা খুলে দিয়েছে তা হলো- মহাকাশে কেউ খুন, ধর্ষণ, আকাশ-দস্যুতা বা মানবাধিকার লংঘনের মতো অপরাধ করলে কী হবে? অথবা মহাকাশে বসে পৃথিবীতে অপরাধ পরিচালনা করলে এটির আইনি পরিণতি কী? এখনো হয়তো মহাকাশে বিচরণ নাসা এবং মহাকাশ স্টেশনের গুটিকয়েক নভোচারীদের মধ্যে সীমিত আছে। কিন্তু মহাকাশ পর্যটন বা স্পেস ট্যুরিজম এর সম্ভাবনা দিন দিন উজ্জ্বলতর হচ্ছে।

২০০১ সালে মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টিটু প্রথম মহাকাশ-পর্যটক হিসেবে মহাকাশ থেকে বেড়িয়ে এসে স্পেস-ট্যুরিজমের যে দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন তারপর এই অব্দি সাতজন পর্যটক মহাকাশে নিজের টাকায় ঘুরে এসেছেন। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে: স্পেস-রিসোর্ট, স্পেস-রেস্টুরেন্ট, স্পেস-পার্ক গড়ে উঠবে, কেউ কেউ হয়তো মহাকাশে বিয়ে করতে চাইবে, কেউ সন্তান জন্ম দেবে মহাকাশে, কেউ চাইতে পারে বিচ্ছেদ, কেউ মঙ্গল গ্রহে কিংবা চাঁদে বসতি গাড়তে চাইতে পারে। এই নিয়ে মহাকাশে লাগতে পারে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সূচনা হতে পারে নানান ফৌজদারি অপরাধের। স্পেস-পুলিশ, স্পেস-জেল, স্পেস-কোর্ট ইত্যাদির সম্ভাবনাও কি উড়িয়ে দেওয়া যাবে? 'No One is Above the Law.' পাতাল থেকে অন্তরীক্ষ- আইন কোথায় নেই! আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এটিই আইনের সৌন্দর্য।



ঢাকা/তারা



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2o7Lax1
Share:

চুলকানির ঘরোয়া সমাধান

চুলকানির ঘরোয়া সমাধান

রাইজিংবিডি.কম

ত্বকের চুলকানি বিব্রতকর একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ত্বকের সাধারণ সমস্যা অথবা সরল চর্মরোগ থেকে চুলকানির সূত্রপাত হয়েছে। আপনার চুলকানি অনুভূত হলে প্রথমে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

কিন্তু এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ত্বকের চুলকানি কোনো মারাত্মক রোগেরও উপসর্গ হতে পারে, যেমন- কিডনির রোগ, লিভারের রোগ, সেলিয়াক রোগ ও লিম্ফোমা। তাই আপনার চুলকানি সাধারণ ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রশমিত না হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে যেন ভুল না হয়। এ প্রতিবেদনে চুলকানি উপশমের জন্য ৮ ঘরোয়া চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো।

* নারকেল তেল অথবা জলপাই তেল

চুলকানির সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসাটি হয়তো আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। নারকেল তেল ও জলপাই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতার জন্য ভালো এবং ত্বকের ক্ষতি করে না, বলেন নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে অবস্থিত ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার সেন্টারের ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্রিস জি. অ্যাডিগান। যেকোনো শুষ্ক ও চুলকানির স্থানে এসব তেল মাখতে পারেন।

* ওটমিলের গুঁড়া

ওটমিলও ত্বকের চুলকানি উপশম করতে পারে। গোসলের পানিতে অল্প পরিমাণ কলোইডাল ওটস (খুব সূক্ষ্ম ওটস পাউডার) মেশান। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে অবস্থিত আর্ট অব স্কিনের কসমেটিক সার্জন ও ডার্মাটোলজিস্ট মেলানি পাম বলেন, ‘কলোইডাল ওটমিল মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের ওপর প্রদাহবিরোধী ও আরামদায়ক আস্তরণ পড়বে, ফলে চুলকানির মাত্রা কমে যাবে। রোদে পোড়া ত্বক বা চুলকানির চিকিৎসায় ভালো ফল পেতে কুসুম গরম পানিতে ওটমিল পাউডার যোগ করে গোসল করতে পারেন।’

* ভেজিটেবল ফ্যাট

ভেজিটেবল ফ্যাট (শর্টেনিং) কেবলমাত্র কাপকেকের জন্য নয়, এটি চুলকানির চিকিৎসায়ও কাজে আসতে পারে। ডা. পাম বলেন, ‘চুলকানি উপশমে ভেজিটেবল ফ্যাটের ব্যবহার শুনতে অদ্ভুত মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো ভেজিটেবল ফ্যাট একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। অনেক চিকিৎসক একজিমাপ্রবণ ত্বকের জন্য এ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।’

* পর্যাপ্ত পানি পান

চুলকানির চিকিৎসায় কেবলমাত্র শরীরের বাইরের দিক বা ত্বক নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হবেন তা নয়, আপনার শরীরের ভেতরের দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থেকে আপনার ত্বককেও হাইড্রেটেড বা আর্দ্র রাখতে পারেন।’ ত্বক আর্দ্র থাকলে চুলকানির প্রবণতা কমে যাবে।

* বেকিং সোডা

বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে তা ত্বকের জন্য আরামদায়ক হতে পারে। মিনেসোটার রোজল্যান্ডে অবস্থিত তারিন ডার্মাটোলজির ত্বক বিশেষজ্ঞ মোহিবা তারিন বলেন, ‘ত্বকের চুলকানি কমাতে একটি কার্যকর উপায় হলো পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করা। বেকিং সোডা ত্বকের পৃষ্ঠের অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে প্রদাহ কমায়, পিএইচে ভারসাম্য আনে ও ত্বকের ওপরে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।’

* ভিটামিন ডি

শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে চুলকানির প্রবণতা বেড়ে যায়। এটা কিন্তু কালতালীয় ব্যাপার নয়। শরীরে ভিটামিন ডি কতটুকু রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ত্বকের চুলকানি বাড়তে পারে অথবা কমতে পারে। ডা. তারিন বলেন, ‘আপনার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভিটামিন ডি কমে গেলে (সাধারণত শীতকালে) ত্বকের সমস্যা ও চুলকানি অগ্নিমূর্তি ধারণ করতে পারে।’

* ওমেগা ৩

একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকে চুলকানির তাড়না দমন করতে সহায়ক হতে পারে। ডা. তারিন চুলকানির সমস্যায় ভোগা লোকদের বেশি করে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে উৎসাহিত করছেন, যেমন- অ্যাভোকাডো, বাদাম ও স্যালমন মাছ। পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ খেলে আপনার ত্বকেও এ ফ্যাটের অনুপ্রবেশ ঘটবে, ফলে চুলকানি প্রশমিত হবে।

* অ্যালোভেরা

আপনি সম্ভবত জানেন যে, পোড়া ত্বকের নিরাময়ে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর। কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে, ত্বকের চুলকানি উপশমেও এ উদ্ভিদটি জাদুকরী ভূমিকা রাখতে পারে। ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘অ্যালোভেরা হলো একটি প্রদাহরোধী ওষুধ, একারণে ত্বকের অস্বস্তিকর চুলকানির জন্য এটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে।’ অ্যালোভেরা থেকে তাজা জেল বের করে চুলকানির স্থানে প্রয়োগ করুন।

তথ্যসূত্র : দ্য হেলদি

পড়ুন : ত্বকের রোগ যখন অন্য রোগেরও লক্ষণ

         * চিকিৎসক ছাড়াই একজিমা শনাক্ত করবেন যেভাবে



ঢাকা/ফিরোজ



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2nghNIY
Share:

চুলকানির ঘরোয়া সমাধান

চুলকানির ঘরোয়া সমাধান

রাইজিংবিডি.কম

ত্বকের চুলকানি বিব্রতকর একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ত্বকের সাধারণ সমস্যা অথবা সরল চর্মরোগ থেকে চুলকানির সূত্রপাত হয়েছে। আপনার চুলকানি অনুভূত হলে প্রথমে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

কিন্তু এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ত্বকের চুলকানি কোনো মারাত্মক রোগেরও উপসর্গ হতে পারে, যেমন- কিডনির রোগ, লিভারের রোগ, সেলিয়াক রোগ ও লিম্ফোমা। তাই আপনার চুলকানি সাধারণ ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রশমিত না হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে যেন ভুল না হয়। এ প্রতিবেদনে চুলকানি উপশমের জন্য ৮ ঘরোয়া চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো।

* নারকেল তেল অথবা জলপাই তেল

চুলকানির সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসাটি হয়তো আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। নারকেল তেল ও জলপাই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতার জন্য ভালো এবং ত্বকের ক্ষতি করে না, বলেন নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে অবস্থিত ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার সেন্টারের ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্রিস জি. অ্যাডিগান। যেকোনো শুষ্ক ও চুলকানির স্থানে এসব তেল মাখতে পারেন।

* ওটমিলের গুঁড়া

ওটমিলও ত্বকের চুলকানি উপশম করতে পারে। গোসলের পানিতে অল্প পরিমাণ কলোইডাল ওটস (খুব সূক্ষ্ম ওটস পাউডার) মেশান। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে অবস্থিত আর্ট অব স্কিনের কসমেটিক সার্জন ও ডার্মাটোলজিস্ট মেলানি পাম বলেন, ‘কলোইডাল ওটমিল মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের ওপর প্রদাহবিরোধী ও আরামদায়ক আস্তরণ পড়বে, ফলে চুলকানির মাত্রা কমে যাবে। রোদে পোড়া ত্বক বা চুলকানির চিকিৎসায় ভালো ফল পেতে কুসুম গরম পানিতে ওটমিল পাউডার যোগ করে গোসল করতে পারেন।’

* ভেজিটেবল ফ্যাট

ভেজিটেবল ফ্যাট (শর্টেনিং) কেবলমাত্র কাপকেকের জন্য নয়, এটি চুলকানির চিকিৎসায়ও কাজে আসতে পারে। ডা. পাম বলেন, ‘চুলকানি উপশমে ভেজিটেবল ফ্যাটের ব্যবহার শুনতে অদ্ভুত মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো ভেজিটেবল ফ্যাট একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। অনেক চিকিৎসক একজিমাপ্রবণ ত্বকের জন্য এ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।’

* পর্যাপ্ত পানি পান

চুলকানির চিকিৎসায় কেবলমাত্র শরীরের বাইরের দিক বা ত্বক নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হবেন তা নয়, আপনার শরীরের ভেতরের দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থেকে আপনার ত্বককেও হাইড্রেটেড বা আর্দ্র রাখতে পারেন।’ ত্বক আর্দ্র থাকলে চুলকানির প্রবণতা কমে যাবে।

* বেকিং সোডা

বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে তা ত্বকের জন্য আরামদায়ক হতে পারে। মিনেসোটার রোজল্যান্ডে অবস্থিত তারিন ডার্মাটোলজির ত্বক বিশেষজ্ঞ মোহিবা তারিন বলেন, ‘ত্বকের চুলকানি কমাতে একটি কার্যকর উপায় হলো পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করা। বেকিং সোডা ত্বকের পৃষ্ঠের অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে প্রদাহ কমায়, পিএইচে ভারসাম্য আনে ও ত্বকের ওপরে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।’

* ভিটামিন ডি

শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে চুলকানির প্রবণতা বেড়ে যায়। এটা কিন্তু কালতালীয় ব্যাপার নয়। শরীরে ভিটামিন ডি কতটুকু রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ত্বকের চুলকানি বাড়তে পারে অথবা কমতে পারে। ডা. তারিন বলেন, ‘আপনার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভিটামিন ডি কমে গেলে (সাধারণত শীতকালে) ত্বকের সমস্যা ও চুলকানি অগ্নিমূর্তি ধারণ করতে পারে।’

* ওমেগা ৩

একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকে চুলকানির তাড়না দমন করতে সহায়ক হতে পারে। ডা. তারিন চুলকানির সমস্যায় ভোগা লোকদের বেশি করে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে উৎসাহিত করছেন, যেমন- অ্যাভোকাডো, বাদাম ও স্যালমন মাছ। পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ খেলে আপনার ত্বকেও এ ফ্যাটের অনুপ্রবেশ ঘটবে, ফলে চুলকানি প্রশমিত হবে।

* অ্যালোভেরা

আপনি সম্ভবত জানেন যে, পোড়া ত্বকের নিরাময়ে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর। কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে, ত্বকের চুলকানি উপশমেও এ উদ্ভিদটি জাদুকরী ভূমিকা রাখতে পারে। ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘অ্যালোভেরা হলো একটি প্রদাহরোধী ওষুধ, একারণে ত্বকের অস্বস্তিকর চুলকানির জন্য এটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে।’ অ্যালোভেরা থেকে তাজা জেল বের করে চুলকানির স্থানে প্রয়োগ করুন।

তথ্যসূত্র : দ্য হেলদি

পড়ুন : ত্বকের রোগ যখন অন্য রোগেরও লক্ষণ

         * চিকিৎসক ছাড়াই একজিমা শনাক্ত করবেন যেভাবে



ঢাকা/ফিরোজ



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2mqV38E
Share:

জিতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললেন দেব

জিতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললেন দেব

রাইজিংবিডি.কম

পূজা উপলক্ষে প্রতিবারই টলিউডে একাধিক সিনেমা মুক্তি পেয়ে থাকে। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটছে না। পূজায় মুক্তি পাচ্ছে— ‘গুমনামী’, ‘মিতিন মাসি’, ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’ ও দেব অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমাটি। মুক্তির এ তালিকায় জিৎ অভিনীত ‘অসুর’ সিনেমাও ছিল। কিন্তু সর্বশেষ মুক্তির মিছিল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জিৎ।

সিনেমার মুক্তিকে সামনে রেখে জিৎ-দেবের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে এই দুই তারকার মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।    

সিনেমা মুক্তি নিয়ে জিতের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জিতের সিনেমাটি পূজায় মুক্তি পাচ্ছে না। সর্বশেষ এই বিবাদের ফল কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, ‘‘তোরটা তুই দ্যাখ, আমারটা আমি দেখে নেব’— এই মানসিকতায় চলেই তো ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থা। তিন বছর আগে এমনটা ছিল না। নিজেকে ভুলে ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে না ভাবলে এগোনো যাবে না। পূজায় বাংলা সিনেমা যাতে হল পায়, তার জন্য মমতা দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছি। উপরওয়ালার দয়ায় যেটুকু যোগাযোগ আছে, তাতে কাউকে একটা ফোন বা ই-মেইল করলে আমার কাজটা হয়ে যাবে। কিন্তু একার জন্য করে কী হবে? একা কেউ রাজা হতে পারে না!’’

‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দেব-রুক্মিনি। এছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন— পাওলি দাম, পরমব্রত চ্যাটার্জি, আদৃত রায় প্রমুখ। এটি পরিচালনা করেছেন কমলেশ্বর মুখার্জি। আগামী ২ অক্টোবর মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 

 

ঢাকা/শান্ত



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2msHPs9
Share:

মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিভাগ করতে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা

মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিভাগ করার বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা চলছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গঠিত একটি সংসদীয় সাব কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করে একটি খসড়া প্রম্তাবও তৈরি করেছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা-সহযোদ্ধা, সহায়ক শক্তি ও ভিকটিমস— এই তিন শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করে এই প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। বিষয়টি... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n5XZIp
Share:

শেষ হলো জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বার্ষিক বিতর্ক

সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৭৪তম বার্ষিক বিতর্ক। সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সভাপতির বক্তব্য রাখেন তিজ্জানি মুহাম্মদ বান্দে। ওই বক্তব্যে তিনি বহুপাক্ষিক সহায়তার মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের একমাত্র পথ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের একযোগে কাজ করা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)  শুরু হয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n3vHy9
Share:

ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ভিসিদের প্রয়োজন নেই: শিক্ষামন্ত্রী

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিসিদের কেউ যদি ভাবেন, আমি আমার মতো কাজ করবো, আমি রাজা, তাহলে সহযোগিতা দূরে থাক; তাদের বলবো, স্যরি। আর আইনের মধ্যে থাকলে আপনাদের সঙ্গে আমরা ষোলআনা আছি। যেসব ভিসিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন, তাদের প্রয়োজন নেই। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2n5HBHT
Share:

প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচারের শিকার

প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচারের শিকার হয়ে থাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে উপস্থাপন করা আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচারের ওপর গঠিত আর্থিক খাত কমিশনের প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইঊনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মূলধনের অভাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভেতরকার সহজাত... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2muSLpa
Share:

Sunday, September 29, 2019

‘ক্যাসিনো নিয়ে এত কথা বলছেন, অন্য সেক্টরের অবস্থা তো আরও গুরুতর’

‘ক্যাসিনো’ সংস্কৃতি রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ার সময় তিনি ছিলেন ডিএমপির দায়িত্বে। ফলে অনেকেই ‘ক্যাসিনো’ বন্ধ করতে না পারার পেছনে পুলিশকে দায়ী করছে, পুলিশ কর্মকর্তারা এসবের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করছেন। নাকের ডগায় ক্যাসিনো চলার পরও তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণ জানতে যোগাযোগ করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদ্য সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া’র  সঙ্গে। ফোনে... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2nGbcY9
Share:

ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আ. লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুরে আল মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার ৪ দিন পর শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বেলকুচি থানায় মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ। ভিকটিমের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বেলকুচি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফজলে আশিক মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2nNxtDi
Share:

নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ফোন কারখানা থেকে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে মোবাইল ফোন কারখানা থেকে ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় কাস্টমস গোয়েন্দারা। অভিযানে মোবাইল ফোন কারখানার কাঁচামালের সঙ্গে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা চাইনিজ ক্যাসিনো সামগ্রী (জুয়ার বোর্ড- মাহাজং) উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন... বিস্তারিত



from Bangla Tribune https://ift.tt/2olIvjt
Share:

রংপুরের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম

রংপুরের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম

রাইজিংবিডি.কম

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য  হওয়া রংপুর-৩ আসনে ভোটের বাকি রয়েছে সপ্তাহখানেক। ভোটের দিন ঘনিয়ে এলেও বিএনপি জোট কিংবা মহাজোটের হাইকমান্ডের নেতাদের নির্বাচনকে ঘিরে কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।

সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিলেও মাঠে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।

স্বতন্ত্রপ্রার্থী এরশাদের ভাতিজা আসিফ সাবেক হয়ে যাওয়া কিছু  জাপা নেতাকে নিয়ে মাঠে রয়েছেন।

লাঙ্গল প্রতীকে জাপার সাদ এরশাদকে স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াতে দেখা গেছে।

তবে সাদ এরশাদ এখনো জাপার হাইকমান্ডের গুরুত্বপূর্ণ কোন নেতাকে প্রচারণার সময় পাশে পাননি। অপরদিকে বিএনপি’র রিটার রহমানের পক্ষেও নেই হাইকমান্ডের নেতারা।

তবে বিএনপি’র সূত্র বলছে দু একদিনের মধ্যে দলের মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসতে পারেন রংপুরে।

৫ অক্টোবর রংপুর সদরের উপ-নির্বাচনের ভোটে  লড়ছেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি, স্বতন্ত্রসহ ৬ প্রার্থী। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানান প্রশ্ন উদয় হচ্ছে। একাধিক ভোটার বলেন জাতীয় পার্টির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। কিন্তু এখানে নির্বাচনী প্রচারণায় মহাজোটের কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখা যায়নি।

জাতীয় পার্টির অন্যতম শরীক আওয়ামী লীগের কোন কেন্দ্রীয় নেতা তো দূরের কথা খোদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কোন নেতাকে সাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি।

ফলে অনেকে বলাবলি করছে এই নির্বাচন নিয়ে  জাপা কিংবা আওয়ামী লীগ অথবা মহাজোটের অন্যান্য শরীক হাইকমান্ডের কোন আগ্রহ নেই। তাই ঢাকা থেকে কষ্ট করে প্রচারণায় কোন কেন্দ্রীয় নেতা  রংপুরে আসছেন না।

একই অবস্থা বিএনপি’র রিটা রহমানের। তিনিও তার প্রচারণায় কেন্দ্রীয় কোন নেতাকে পাচ্ছেনা। বিএনপি রিটা রহমানকে মনোনয়ন দেয়ায় খুশি হতে পারেনি তৃণমূল বিএনপি’র নেতা কর্মীরা। ফলে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন রিটা রহমান। এসময় কেন্দ্রীয় কোন নেতাকে পাশে পেলে প্রচারণায় গতি পেত বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন দেখতে পায়নি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রিটা রহমানের পক্ষে নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়নকারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি ১০ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচন সমন্বয় টিমের সদস্য রংপুর বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুদু  নির্বাচনের বিষয়টি দেখছেন।

এ প্রসঙ্গে আসাদুল হাবিব দুদু রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে। তার অনুপস্থিতিতে আমি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমি বর্তমানে রংপুরে অবস্থান করে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করছি।’

এ প্রসঙ্গে জেলা গণফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা বিএনপি জোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। এবার এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে  নির্বাচনের বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি। তাই আমরা ধরে নিয়েছি হাইকমান্ডের রংপুরের নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের জোটের শরীক অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জেনেছি তারাও কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কোন নির্দেশনা এখনো পাননি।’

এদিকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করে নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে লাঙ্গলের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান  টুটুল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিষয়টি তা নয়। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে জাপা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।’

অপরদিকে জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘খুব দ্রুত আমরা নির্বাচনী এলাকার বাইরে একটি সভা করব। সেখানে দলের কো- চেয়ারম্যান রওশান এরশাদও থাকার কথা। কিন্তু তার কোন লক্ষণ দেখা না দেয়ায় দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহে অনেকটা ভাঁটা পড়েছে বলে জাপা নেতাকর্মীরা মনে করছেন।’

জাপা নেতাকর্মীরাও মনে করছেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। তাই হাইকমান্ডের তেমন একটা আগ্রহ নেই।

এদিকে শনিবার নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নির্বাচনী প্রচারণা চালান এরশাদ পুত্র রাহগীর আল-মাহি সাদ।

প্রচারণায় তিনি বলেন বলেন, ‘ভোটে জিতলে রংপুরে থেকেই রংপুরের সমস্যাগুলো সমাধান করব। সংসদে এখানকার সমস্যা গুরুত্বসহকারে তুলে ধরব।’

অন্যদিকে, রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা করতে সোমবার রংপুরে যাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।

রির্টানিং অফিসার জিএম সাহতাব উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রংপুর সদর আসনের উপ- নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা করতে সোমবার রংপুর আসবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিএম সাহতাব উদ্দিন। সকাল ১১টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা করবেন।’



রংপুর/নজরুল মৃধা/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2ouvvZ5
Share:

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions