One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Saturday, September 28, 2019

রসালো মাল্টা যাচ্ছে সারা দেশে

রসালো মাল্টা যাচ্ছে সারা দেশে

রাইজিংবিডি.কম

লাভজনক ও ভালো ফলন হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে মাল্টার বাণিজ্যিক চাষাবাদ।

অন্য ফলের তুলনায় বান্দরবানের সমতল ও পাহাড়ি ঢালু জমিতে মাল্টার আবাদ ব্যাপক হারে বাড়ছে। মাল্টা চাষ করে সাবলম্বী হয়ে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে অনেক কৃষকের।

দিন দিন চাহিদা বাড়ায় স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি মাল্টা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের মাল্টার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। পাহাড়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে মাল্টার বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

মৌসুমের শুরুতে বান্দরবান শহরের বাজারে ডজন প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে এই মাল্টা। ভালো দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বাগানিরা।

জানা গেছে, বান্দরবান সদর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের আবাদ হয়েছে, আর এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে এবার ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে তিন/চার মেট্রিক টন।

আরো জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার ক্যামলংপাড়া, গ্যাৎসিমানীপাড়া, নয় মাইল, বসন্ত পাড়া, চান্দাপাড়া ও চিম্বুকে বারি মাল্টা-১ এর আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রদর্শনী আকারে কৃষকদের বিনামূল্যে চারা কলম ও সার সরবরাহ করা এবং রোপন পদ্ধতি ও পরিচর্যার বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ প্রদান করার ফলে কৃষক তার সুফল পেতে শুরু করেছে।

জেলা সদরের ক্যামলং ব্লকের কৃষক অংজাইউ মার্মা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় তিন বছর আগে চারা কলম ও সার পেয়ে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে দুই একর জমিতে বারি মাল্টা-১ এর চাষ করি। এবছর প্রথমবার ফল ধরেছে এবং ইতোমধ্যে বিশ হাজার টাকার বিক্রয় করেছি। এবছর  জেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আরো ৫০ শতক জমিতে বারিমাল্টার আবাদ করেছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাধারণত মে-আগস্ট মাসের মধ্যে মাল্টার চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে সেচ নিশ্চিত করা গেলে বছরের যে কোন সময় রোপণ করা যায়। রোপণের চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরে ফল আহরণের সময় হলেও অনেক কৃষক বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ক ফল সংগ্রহ করছে। ফলে মাল্টার স্বাদ, গুণ ও মিষ্টতা নষ্ট হচ্ছে।

প্রতিটি মাল্টা গাছে কমপক্ষে ২৫০ থেকে ৩০০ ফল উৎপাদন হয়। পাহাড়ে চাষ করা মাল্টা আকারে বেশ বড় হয়। ফল সংগ্রহের পর প্রায় দুই সপ্তাহ অপচনশীল থাকায় এর বিপণনে কোন সমস্যা হয় না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, চলতি বছরে পুরাতন বাগানের পরিচর্যার জন্য ইতোমধ্যে বিনামূল্যে সার ও বালাইনাশকসহ নতুন বাগান সৃজনের জন্য আরো ৫০ জন কৃষককে বাগান আকারে চাষের জন্য বিনামূল্যে চারা কলম ও সার বিতরণসহ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে স্থানীয় ও দেশিয় বাজারে বারি মাল্টা ১ এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে বিদেশী মাল্টার আমদানীর পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে আশাবাদ চাষীদের।

বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. ওমর ফারুক রাইজিংবিডিকে জানান, বারি মাল্টা জাতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফল পরিপক্ক হলেও খোসা সবুজ ও হালকা হলুদ রঙের হয়। কাঁচা অবস্থাতেও খুব রসালো ও সুমিষ্ট হয় এই ফল। 

 

বান্দরবান/এস বাসু দাশ/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2mzmkpI
Share:

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions