One can get information of Technology, Online income info, Health, Entertainment, Cooking & Recipe, Bye & Sale, Sports, Education, Exclusive news and many more in single bundle. ভান্ডার 24 থেকে আপনি পাচ্ছেন টেকনোলজি ইনফরমেশন, অনলাইনে ইনকাম ইনফরমেশন, হেলথ, এন্টারটেইনমেন্ট, কুকিং & রেসিপি, কেনা বেচা, স্পোর্টস, এডুকেশন, এক্সক্লুসিভ নিউজ ও আরো অনেক কিছু |

Wednesday, April 29, 2020

বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকট নেই- তবুও দুশ্চিন্তা

বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকট নেই- তবুও দুশ্চিন্তা

বিজয় ধর

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষাণ-কৃষাণীর।

রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ির ইউনিয়ন ও শহরের রাঙ্গাপানি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানের ব্যাপক সমারোহে ভরপুর সবুজ প্রান্তর। যেদিকে চোখের দৃষ্টি পড়ে সেদিকেই শুধু সোনালী ধানের সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত ধান কাটায়।

ইতোমধ্যেই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ধান কাটার শুরু হয়ে গেছে। নতুন ধানে কৃষাণ-কৃষাণীর চোখে আনন্দ ঝিলিক। তারপরও কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ। করোনা কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েই তাদের দুশ্চিন্তা।

আলাপকালে রাঙ্গাপানি এলাকার কৃষাণী শিশুবতী চাকমা বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু এ ফসল কোথায় বিক্রি করবো সবকিছু তো বন্ধ। এটা নিয়ে চিন্তায় আছি।'

আরেক কৃষক নিলু কুমার চাকমা বলেন,‘আমি এবার হাইব্রিড ও উফশী ধানের জাত চাষ করেছি। আমি প্রতি বছর ধানের জাত পরিবর্তন করে ধান চাষ করে থাকি। এবছরও দুই বিঘা জমিতে ভাল ফসল উৎপাদন হয়েছে।'

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম চৌধুরী জানান,  এ বছর কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে উফশী জাতের ব্রিধান-২৮  ১৮২ হেক্টর, ব্রিধান-২৯  ৫০ হেক্টর,  ব্রিধান-৫৮  ১০ হেক্টর, ব্রিধান-৭১  ১০ হেক্টর,  হাইব্রিড জাতের হিরা ১০ হেক্টর, সেরা ৫ হেক্টর, নবি ৬ হেক্টর ও টিয়া ৭ হেক্টর সহ সর্বমোট ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ফলন হয়েছে।
 


সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের বোধিপুর গ্রামের কৃষক প্রভাত চন্দ্র চাকমা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের গ্রামের কৃষকরা সবাই আতঙ্কে আছেন। কারণ, আমরা জমিতে ধান, বিভিন্ন সবজি চাষ করলেও গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় খুবই চিন্তায় আছি।'

রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, ‘এ বোরো মৌসুমে আমাদের ৪৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান ২৩০ হেক্টর ও উফশী ধানের আবাদ হয়েছে ২৫০ হেক্টর।এবার আমাদের শতভাগ লক্ষমাত্রা অর্জন হয়েছে। ধানে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের উপদ্রবও কম ছিল।'

তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র প্রান্তিক  চাষিরা এসময়ে পণ্য বাজারে নিয়ে বিক্রয় করে স্বল্প আয় করতো। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে তা এখন ব্যহত হচ্ছে।'

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ৭০৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭১৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।'

তিনি বলেন, রাঙামাটিতে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় বাঘাইছড়ি, লংগদু, কাউখালী ও নানিয়ারচর উপজেলায়। এবার যেহেতু মৌসুমটা ভালো, আশা করছি উৎপাদনও ভালো হবে।'

তিনি বলেন, ‘এখানকার কৃষকরা একে অপরের ধান জমি থেকে কেটে তুলে দেয়। এ কারণে পাহাড়ে ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট কম।'

পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে ৮টি লংগদুতে ৫টি ও রাঙামাটি সদরে ৫টি ধান কাটার মেশিন রয়েছে। তাই আমাদের ধান কাটার শ্রমিক সংকট নাই। রাঙামাটিতে যেসব কৃষকের ধান বেশি আছে, এ বোরো মৌসুমে সরকার কর্তৃক তাদের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে। লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাউখালী ও রাজস্থলীতে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের তালিকাও করা হচ্ছে।'

 

বিজয়/টিপু



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/3f0teL3
Share:

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Pages

Blog Archive

3i Template IT Solutions. Powered by Blogger.

Text Widget

Copyright © ভান্ডার 24 | Powered by 3i Template IT Solutions